এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিজেপির দফায় দফায় সংঘর্ষে তেতে উঠলো রাজ্য, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

তৃণমূল বিজেপির দফায় দফায় সংঘর্ষে তেতে উঠলো রাজ্য, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যে প্রথম দফা ভোটের শুরু থেকেই দেখা গেছে যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল। আজকে রাজ্যজুড়ে ছিল ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে। আর এবারের নির্বাচনেও আলাদা কোন ছবি চোখে পড়েনি। পূর্ণমাত্রায় হয়ে চলা রাজনৈতিক হিংসা নির্বাচন কমিশনের হিংসামুক্ত ভোট করার যাবতীয় চেষ্টাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।

আজকের নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মত উত্তর চব্বিশ পরগণার কাঁচরাপাড়াতেও দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল এবং বিজেপির সমর্থকরা। দুজনেই একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সমর্থক এবং কর্মীরা তাঁদের পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।

অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। পাল্টা গেরুয়া শিবির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের দিকে। সূত্রের খবর, আজকে ভোট চলাকালীন কাঁচরাপাড়ায় ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকরা।

তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, তাঁদের দলীয় দপ্তরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তাঁদের দলীয় অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, আজকে কাঁচরাপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু বাসা সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের দপ্তরে বিজেপি ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় দাবি করেছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকেই প্রথম হামলা চালানো হয়েছিল। আর তার প্রতিবাদে বিজেপি নয়, স্থানীয় মানুষরাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাবড়া বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, শুভ্রাংশু রায় হেরে যাবেন আর সেকারণেই আগেভাগে বিজেপি হামলা চালিয়েছে।

বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে এলাকার মানুষ ব্যাপক আতঙ্কিত। পরিস্থিতি সামাল দিতে বীজপুর থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় পৌঁছায়। অন্যদিকে নির্বাচনের দিন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রমরমা, সেই অবস্থায় এত বড় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটলো কিভাবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এলাকার পরিস্থিতি এখনো থমথমে। আপাতত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত। তবে এই অশান্তির রেশ যে এত সহজে মিটবে না, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!