এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল-বিজেপির সঙ্ঘর্ষে অশান্তির আগুন জ্বললো, নির্বাচন কমিশনের বার্তা পরিণত হলো প্রহসনে

তৃণমূল-বিজেপির সঙ্ঘর্ষে অশান্তির আগুন জ্বললো, নির্বাচন কমিশনের বার্তা পরিণত হলো প্রহসনে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন যত কাছে আসছে, তত বেশী রাজনৈতিক অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যজুড়ে যাতে কোনরকম হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে। কিন্তু নির্দেশ আসলেও সেই নির্দেশ মানা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। বরং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক-বিরোধী গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যেমন রবিবার বিকেলে মেমারি এলাকা উত্তেজিত হয়ে উঠলো তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষের কারণে। এই সঙ্ঘর্ষের কারণে এলাকার পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট থমথমে বলে জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে মেমারির আমাদপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় দুয়ারে সরকারসহ একাধিক সরকারি কর্মসূচি নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা বাইক র‍্যালি করে মেমারির কেজা এলাকায় যখন পৌঁছায়, তখনই শুরু হয় গন্ডগোল। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার বিজেপি নেতা ভীষ্মদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দুষ্কৃতী হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ওপর। জানা যাচ্ছে, মারধরে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তৃণমূল পরিচালিত আমাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সাধনা হাজরা জানিয়েছেন, বিজেপি কর্মী সমর্থক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় পুলিশের উপস্থিতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বনমালী হাজরা জানিয়েছেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে এই বাইক র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বাইক র‍্যালি বের হতেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালায়। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং তার ছেলেসহ তৃণমূল কংগ্রেসের 5 জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের আনা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বিজেপি নেতা ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে তাঁরাও মিছিল করছিলেন। তাই তাঁদের নেতৃত্বে কোনরকম হামলা ঘটেনি।

জানা গিয়েছে, মেমারি থানায় তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালালেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এলাকার পরিস্থিতি কিন্তু রীতিমতো থমথমে। নতুন করে যাতে কোনরকম অশান্তি সৃষ্টি না হয় তাই পুলিশি প্রহরা সর্বত্র। নতুন করে আশান্তির আতংকে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!