এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল দুর্গে কি বড়োসড়ো ফাটল? মন্ত্রীসভা কি ভেঙে যাচ্ছে?

তৃণমূল দুর্গে কি বড়োসড়ো ফাটল? মন্ত্রীসভা কি ভেঙে যাচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের এক মন্ত্রী পদত্যাগ করতেই অন্য মন্ত্রীর বেসুরো আওয়াজ যথেষ্ট বেড়ে গেল। বেশ কিছুদিন ধরেই ডোমজুড়ের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো হয়েছেন। মূলত শুভেন্দু অধিকারী যখন দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন, তখন থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছাড়া নিয়ে চলছে গুঞ্জন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে ধরে রাখার দায়িত্ব যেরকম নিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ সৌগত রায়, সেরকমই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর দায়িত্ব পড়েছে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল দুর্গে আবারও বড়োসড়ো ভাঙ্গনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

দল এখনও পর্যন্ত না ছাড়লেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু যে রাস্তা ধরেছেন, তাতে স্পষ্ট দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কিন্তু ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার ডোমজুড়ের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের কথা ছিলো। কিন্তু অসুস্থতার দোহাই দিয়ে রাজীব সেই বৈঠকে হাজির হননি। পাশাপাশি হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু সেখানেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায় যখন জানা যায়, উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা রাজ্যের মন্ত্রীসভার পদ এবং হাওড়া জেলা শহর তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়তে চলেছেন। সেই অনুযায়ী তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠিও দিয়েছে না। লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক সেসময় হাওড়ার ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার বৈঠকে গরহাজির রাজনৈতিক মহলে বড়োসড়ো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া জেলা সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ায় জেলা কমিটি গঠিত না হওয়ায় হাওড়ার সাংগঠনিক কাজকর্ম তিনি এক প্রকার বন্ধ করে দেন। এমনকি গত কয়েক মাস যাবৎ তাঁকে মন্ত্রীসভার বৈঠকেও দেখা যায়নি। অন্য দিকে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আর কোনরকম আলোচনা করতে রাজি নন। পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দলীয় ও প্রশাসনিক বৈঠক বয়কট করে চলেছেন একের পর এক, ঠিক সেভাবেই দল পরিচালনা নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে শান্ত করতে তৃণমূল মহাসচিব দায়িত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে দুটি বৈঠক করেছেন।

কিন্তু দুটি বৈঠকই অসফল। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় বৈঠকের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। অতএব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে এবার যেভাবে একের পর এক মন্ত্রী পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন, তাতে কিন্তু ধীরে ধীরে শাসকদল কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। একুশের নির্বাচন হতে আর বিশেষ দেরি নেই কিন্তু তার আগেই যেভাবে তৃণমূল দুর্গের একের পর এক ইঁট খসে পড়ছে, তাতে কিন্তু যেকোনো দিন তৃণমূল গড় ধুলিস্যাৎ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার মন্ত্রীসভাতেও বড়সড় ভাঙন?

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!