এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল কর্মীর হত্যা, অশান্তির আশংকায় প্রহর গুনছে এলাকাবাসী

তৃণমূল কর্মীর হত্যা, অশান্তির আশংকায় প্রহর গুনছে এলাকাবাসী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই টানটান উত্তেজনা চলছে। কিন্তু তার মধ্যেই বেড়ে চলেছে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা। উত্তরবঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর চলছে রাজ্যের দুই রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। কিন্তু তার মধ্যেই কোচবিহার জেলার তৃণমূল কর্মীর হত্যাকাণ্ড পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার তৃণমূল কর্মীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয় আর তাই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এদিকে এলাকায় অশান্তির আশংকায় পুলিশি প্রহরা অব্যাহত।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের খোলটা মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিধিরাম মন্ডল বলে এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয় ।খুব স্বাভাবিকভাবেই এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, মৃত তৃণমূল কর্মী নিধিরাম মন্ডল কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ মরিচবাড়ি এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে দেহ উদ্ধারের পর দেখা গেছে তাঁর দেহ জুড়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। হাসপাতাল সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, কেউ বা কারা তৃণমূল কর্মী নিধিরাম মন্ডলকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অন্যদিকে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার নিধিরাম মন্ডল বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন বাজারে যাবার উদ্দেশ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাত 9 টার পর সেখান থেকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বলে অনুমান করা হচ্ছে।বাড়ির অদূরে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিধিরাম মন্ডলের মাথায় এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে উঠেছে। কোচবিহারে তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ইতিমধ্যেই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তবে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ালেও এখনো পর্যন্ত কিন্তু প্রমাণ হয়নি এটি আদৌ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কিনা।

যদিও তৃণমূলের একাংশ যথারীতি এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে গেরুয়া দুষ্কৃতীর কথা উল্লেখ করেছেন। বলা হচ্ছে, নিধিরাম মন্ডল যেহেতু এলাকার সক্রিয় এবং দক্ষ তৃণমূল কর্মী, তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে সরিয়ে দিলো বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র উত্তেজনা। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিধিরামের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এলাকাজুড়ে শুরু করেছে তদন্ত। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশের হাতে হত্যাকারী ধরা পড়েনি। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক চাপানউতোড় আরও বাড়িয়ে দেবে এই রাজনৈতিক হত্যাকান্ড।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!