এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে অশান্ত ঝাড়গ্রামের পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা

তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে অশান্ত ঝাড়গ্রামের পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই টানটান উত্তেজনা চলছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু তার মধ্যেই যেভাবে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা বাড়ছে রাজ্যে তা কিন্তু ক্রমাগত চিন্তা বাড়াচ্ছে কমিশনের বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ব্যাপক আকারে চাপানউতোর চলছে।আর তার মধ্যেই ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কর্মী দুর্গা সোরেন এর মৃত্যু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির দিকে। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।ইতিমধ্যেই দুর্গা সোরেনের খুনের অভিযোগে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল বেড়েছে গ্রামে। এলাকায় যাতে নতুন করে কোনো রকম উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য পুরো এলাকা নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে নেতুরা বাজারে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় প্রথমে বচসা এবং তারপরে হাতাহাতি।ক্রমশ উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় এবং তৃণমূলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন তারক সাউ নামে আরেক বিজেপি কর্মী। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হতেই রাতেই তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল এবং বিজেপি- দুই পক্ষ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। একদিকে যেমন আহত তারক সাউয়ের ভাই বিজেপি কর্মী তথা পঞ্চায়েত সদস্য মানিক সাউ মোট 14 জনের নামে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন, ঠিক একইভাবে মৃত দুর্গা সোরেনের ছোট ছেলে রূপচাঁদ সোরেন ঝাড়গ্রাম থানায় মোট 10 জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

পুলিশ দুই তরফের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের মধ্যে দুজন তৃণমূলের এবং দুজন বিজেপির। উভয়পক্ষের চারজনকেই ঝাড়গ্রামের আদালতে তোলা হলে তৃণমূল এবং বিজেপির দুজনকে তিন দিন ও পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয় এবং বাকি দুজনের 14 দিনের জেল হেফাজত হয়।

অন্যদিকে আদালত চত্বরে বিজেপি কর্মী কল্যাণ রানা জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে দরজা ভেঙে তুলে এনেছে। তিনি এই ঘটনায় জড়িত নন। অন্যদিকে ধৃত তৃণমূল কর্মী তপন পৈরা জানিয়েছেন, সবটাই বিজেপির চক্রান্ত। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। সবমিলিয়ে এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট অগ্নিগর্ভ এই মুহূর্তে। 

অন্যদিকে আজকে দুর্গা সোরেনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। স্বাভাবিকভাবেই মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে দেবাংশুর হাজিরা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!