এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূল কিসে এগিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ছুড়লেন দিলীপ

তৃণমূল কিসে এগিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ছুড়লেন দিলীপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময় যত বাড়ছে, ততই বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর বাড়ছে। একদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা যেভাবে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন, ঠিক সেভাবেই পাল্টা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ অন্যান্য বিজেপি নেতানেত্রীরা আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার সোজাসুজি প্রশ্ন তুললেন, 10 বছরের রাজত্বকালে তৃণমূল কিসে এগিয়ে রয়েছে বাংলায়?

এদিন মালদা শহরের মানিকচকে বিশাল জনসভা করার কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তার আগেই মঙ্গলবার সকালে চায় পে চর্চায় দিলীপ ঘোষ যোগ দিলেন মালদা শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায়। এই সভামঞ্চ থেকেই তিনি একাধিক ইস্যু তুলে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে গেলেন। এদিন দিলীপ ঘোষ করনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সুস্থ থাকার আবেদন করেন প্রথমে। দিলীপ ঘোষ এদিন বিজেপির জন্ম ইতিহাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আক্ষেপ করেছেন, বিজেপির জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গে হলেও এখনো পর্যন্ত বাংলাতেই বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি।

আর সেক্ষেত্রে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দাবি করেছেন, অন্যান্য রাজ্যগুলি স্বাধীনতা পরবর্তীসময়ে এগিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু পিছিয়ে গেছে। আর এরপরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, বাংলা কিসে এগিয়েছে? উত্তরও অবশ্য তিনি নিজেই দেন। তাঁর মতে, আইন শৃংখলার অবনতিতে যেরকম বাংলা এগিয়ে গেছে, ঠিক সেভাবেই মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতাতেও বাংলা এগিয়ে। পাশাপাশি যেভাবে রাজ্যজুড়ে বেকারত্ব দেখা যাচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে বাংলা এগিয়ে গেছে সেক্ষেত্রেও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, যাকে বাংলার মানুষ প্রথমবার মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন, তিনি মহিলাদের সুরক্ষাজনিত সামান্য কাজও করতে পারেননি। দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, আজকের তৃণমূল সরকার যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছে এই পরিবর্তন কেউ চায়নি। তিনি বলেন, সিপিএমের অত্যাচারে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল বলে মুক্তির জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তিনি কটাক্ষ করেন, ‘ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে বাংলার মানুষ’। অন্যদিকে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 34 বছর সিপিএম কে সরানো অসম্ভব মনে হলেও মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে সিপিএমকে সরিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দিলীপ ঘোষের এই কথার আড়ালে যেরকম তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তীব্র কটাক্ষের খোঁজ পেয়েছেন, ঠিক সেভাবেই মনে করা হচ্ছে সিপিএম-তৃণমূল পালাবদলের ঘটনা টেনে এনে আগামী দিনে রাজ্যে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে সে কথাই স্পষ্ট করলেন। পাশাপাশি বেকারত্ব নিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালান এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। অন্যদিকে মালদা শহরে এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল থেকে আগত অনন্ত চক্রবর্তী। তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলে স্বাগত জানান।

অন্যদিকে চায় পে চর্চা থেকে দিলীপ ঘোষ যেভাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ চালিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়বে। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি প্রতিপক্ষ হিসেবে ময়দানে নেমেছে। আর তাই চলছে লাগাতার আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণের ঢেউ।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!