এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > তৃণমূল নেতা খুনে ক্ষুব্ধ শুভেন্দুর অঙ্গীকার – মুকুল-ঘনিষ্ঠকে বরাবরের জন্য জেলে ঢোকানোর!

তৃণমূল নেতা খুনে ক্ষুব্ধ শুভেন্দুর অঙ্গীকার – মুকুল-ঘনিষ্ঠকে বরাবরের জন্য জেলে ঢোকানোর!


বরাবরই শাসক বিরোধী দলের মধ্যে অভিযোগের তীর উঠতেই থাকে। লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে এরাজ্যে ক্রমাগত বেড়েছে খুনোখুনির রাজনীতি। দুর্গাপূজার মধ্যেও সেই হানাহানি বন্ধ হলো না। হানাহানির জেরে প্রাণ গেলো তৃণমূলের দলীয় সমর্থকের। ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া এলাকায়। ঘটনার পর শাসক বিরোধী দল একে অন্যের ওপর দোষ চাপানো শুরু হয়ে গেছে। এই দোষারোপের পালার মধ্যেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন শাসকদলের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কুরবান শাহ এদিন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, এই খুনের পেছনে হাত রয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের। তাঁর নেতৃত্বেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে কুরবান শাহকে।

এদিন পাঁশকুড়ার মাইসোরায় নিহত কুরবান শাহের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। কুরবান শাহ এর পরিবারের সাথে কথা বলে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এবং সেখান থেকেই তিনি বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁর দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে বহুবার অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে দেখা গেছে। তিনি পরিকল্পনামাফিক খুনটি পরিচালনা করেছেন।

নিহত কুরবান শাহের বাড়ি যাওয়ার আগে তমলুক জেলা হাসপাতালে যান মন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান জেলে ছিলেন এবার জেলে ঢুকলে তিনি আর বের হতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন, ‘মৃতদেহকে সাক্ষী রেখে বলছি, এরপর ভেতরে ঢুকলে আর বেরবে না।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের তরফ থেকে করা খুনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বিজেপি শিবির দাবি করেছে, এই খুনের পেছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাত। উল্লেখ্য, নবমীর রাতে তৃণমূল পার্টি অফিসের ভেতরেই আক্রান্ত হন এবং মারা যান কুরবান শাহ। রাত দশটা নাগাদ আচমকা জনা সাতেক দুষ্কৃতী বাহিনী বাইকে করে এসে তাঁর ওপর হামলা করে।

পার্টি অফিসে ঢুকেই কুরবান শাহকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। সাথে সাথেই তৃণমূল নেতা লুটিয়ে পড়েন এবং তার মৃত্যু হয়। এর পরেই এলাকাছাড়া হয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ 3 জনকে আটক করেছে। বাকিদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে আছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।

এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পুলিশি তদন্ত চলছে। তবে ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে শাসকদল। এই ঘটনায় বিরোধী দলের দাবি, খুনের ঘটনাটি সম্পূর্ণ ঘটেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে। বর্তমানে তৃণমূল দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাত্রা এত পরিমান বেড়ে গেছে যে খুনোখুনি, হানাহানি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সমগ্র ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!