প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 40 বছরের সময়সীমা পার করেও রাহুল সিনহার বদলে মুকুল রায়কে দলে বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে আর তাই নিয়ে গেরুয়া শিবিরে প্রবল রাজনৈতিক জল্পনা। তবে এবার রাহুল সিনহা এমন একটা খবর প্রকাশ্যে এনেছেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন। সম্প্রতি রাহুল সিনহা বিজেপিতে কোনো বিশেষ জায়গা না পাওয়ায় পুরোপুরি দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল সিনহা এদিন জানিয়েছেন, তাঁকে তৃণমূল শিবিরের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা ফোন করেছিলেন।

তবে কি কারণে রাহুলকে তাঁরা ফোন করেছিলেন তা নিয়ে রাহুল স্পষ্ট ভাষায় কিছু বলেননি। তবে তৃণমূলের নেতাদের ফোনের সাথে সাথে রাহুল জানিয়েছেন সমস্ত দল থেকেই তাঁর কাছে ফোন আসছে। দিন কয়েক আগেই রাহুল সিনহা বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খুইয়েছেন। প্রকাশ্যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে অভিমানসূচক মন্তব্যও করেছিলেন। নাম না করে মুকুল রায়, অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাহুল। এমনকি তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের জন্য তাঁকে পদ হারাতে হলো বলে দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত মুকুল রায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে যেরকম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন গেরুয়া শিবিরে, ঠিক সেভাবেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরাও বিজেপি শিবিরে এসে দলের জাতীয় সম্পাদক হয়েছেন। রাহুল সিনহা অবশ্য তখনই জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যেই তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবেন। তবে সেই সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি কিছু জানাননি। শুক্রবার রাহুল সিনহা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হয়ে জানান, তৃণমূলের দুই নেতা তাঁকে সৌজন্যের খাতিরে ফোন করেছিলেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রাহুল সিনহাকে যদি দলে আনতে পারে, তাহলে তা একপ্রকার বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কারণ রাহুল সিনহা বিজেপির অন্দরের কর্মী। তবে রাহুল সিনহার মন্তব্য নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল বা বিজেপি কোন দলের পক্ষ থেকেই কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রকারান্তরে রাহুল তাঁর নিজের দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাখলেন। আপাতত রাহুল সিনহার ভূমিকা রাজ্য রাজনীতিতে কি দাঁড়ায়, এখন সে দিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।