এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে পুনর্বাসন সমস্যা নিয়ে নতুন ঝড় তুলতে আসরে ঘাসফুলের হেভিওয়েট মন্ত্রী

তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে পুনর্বাসন সমস্যা নিয়ে নতুন ঝড় তুলতে আসরে ঘাসফুলের হেভিওয়েট মন্ত্রী


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাঁকুড়ার রেলের জমি উদ্ধার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা চলছে। মূলত প্রধান সমস্যা- রেলের জমিতে বসবাসকারী মানুষদের পূনর্বাসন না দেওয়া। এই নিয়ে বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে আওয়াজ তুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দাবি তুলেছিলেন, রেলের জমিতে বসবাসকারীদের পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না। এই নিয়ে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসন এবং জেলা জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কাজ যে হয়নি, সে কথা বোঝা গেল রবিবার। রবিবার বাঁকুড়া শহরের পাটপুর এলাকার রেলগেটে রেলের তরফ থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

রেলকে বাধা দেওয়ার জন্য ওই এলাকায় উপস্থিত হন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পাটপুর এলাকার রেললাইনের পাশে মাটি সমান করার কাজ করছিলেন রেলের তরফে নিযুক্ত কর্মীরা। সেই সময় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ির সদস্যদের রেল নিযুক্ত কর্মীরা জানান, বাড়ি ভাঙ্গা হবে। আর তারপরেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছান শ্যামল সাঁতরা। রেলের নিযুক্ত শ্রমিকদের বাধা দেওয়া হয় কাজ করতে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং দলনেত্রীর ছবি লাগানো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এমনকি শ্যামল সাঁতরা রেলের শ্রমিকদের রীতিমতন হুঁশিয়ারি দেন বলে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে সেই ভিডিওর সত্যতা প্রিয় বন্ধু মিডিয়া যাচাই করেনি। এরপরেই ওই এলাকার কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্যামল সাঁতরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পুনর্বাসন না হলে উচ্ছেদ করা যাবেনা রেলের জমিতে বসবাসকারীদের। তা সত্ত্বেও যেভাবে রেল উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে, এর পেছনে বিজেপির প্ররোচনা রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার দাবি করেছেন, তৃণমূল পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত দু’বছর ধরে জেলা প্রশাসনের কাছে রেলের জমিতে বসবাসকারীদের জমির পাট্টা দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রশাসন সেই কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেন সুভাষ সরকার। এ প্রসঙ্গে সুভাষ সরকার আরও দাবি করেছেন, বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলতে বলেছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হয়নি। এদিন সুভাষ সরকার আরও জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে ভার্চুয়াল বৈঠকে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছে পুনর্বাসনের। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের ওপরেই জোর দিচ্ছেন তাঁরা।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ামাত্রই আদ্রা ডিভিশনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বাঁকুড়ার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন থেকে অভিযোগ করা হয়, কোন অনুমতি ছাড়াই রেল এই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে রেলওয়ে ডিআরএম নবীনকুমার জানান, বাঁকুড়ায় রেলের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনরকম চিঠি পাননি তিনি জেলাশাসক এর কাছ থেকে। তবে আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম এদিনের ঘটনা সম্পর্কে যে কিছুই জানেন না, সে কথা জানিয়েছেন। তবে রেলের নিয়ম অনুযায়ী জমি যে রেলের হাতেই থাকবে, সে কথাও তিনি বলেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাঁকুড়া জেলায় রেলের জমি উচ্ছেদ নিয়ে পুরোপুরি আসরে নেমেছে তৃণমূল। পুনর্বাসন নিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক আলোকবর্তিকা নিজেদের দিকে টানতে পুরোপুরি সচেষ্ট তৃণমূল বলে দাবী করছে বিজেপি। আর সেই উদ্দেশ্যেই তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা আসরে নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রেলের জমিতে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে রেলের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব থাকছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই দায়িত্ব জেলা প্রশাসন কতটা কি পালন করবে, এখন সে দিকেই নজর সবার।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!