এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল সাংসদের পর এবার বিজেপি নেতার স্ত্রীর খোঁজ নিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী

তৃণমূল সাংসদের পর এবার বিজেপি নেতার স্ত্রীর খোঁজ নিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মুকুল রায়ের স্ত্রীয়ের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ মুকুল পত্নী করোনা আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। সূত্রের খবর, অত্যন্ত চিন্তান্বিত মুকুল রায় এই মুহুর্তে। মুকুল পত্নীর স্ত্রীর শারীরিক অবনতির খবর শুনে হাসপাতালে পৌঁছে যান অভিষেক নিজেই। সেখানে তাঁর দেখা হয় শুভ্রাংশুর সঙ্গে। যাবতীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে রেখে শুভ্রাংশুর কাছে সমস্ত খোঁজ-খবর নেয় অভিষেক। আর এই ঘটনাই নাড়িয়ে দেয় রাজ্য বিজেপিকে। দিল্লী থেকে সোজা প্রধানমন্ত্রীর ফোন আসে মুকুলের কাছে বলে জানা গেছে।

জানা গিয়েছে অভিষেক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও তিনি হাসপাতালে গিয়ে শুভ্রাংশুর দেখা পাননি বলে খবর। অন্যদিকে শুভ্রাংশুর মুখে শোনা গেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা। অন্যদিকে শুভ্রাংশু বেশ কিছুদিন যাবৎ দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। শুধু শুভ্রাংশুই নয়, কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায় পর্যন্ত দল নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভ্রাংশুর সাক্ষাৎ গেরুয়া শিবিরকে অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি তড়িঘড়ি বিজেপি নেতারা তৎপর হয়ে উঠেছে। অবশ্য রাজনৈতিক মহলের অনেকেই দাবি করছেন, ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্যই দিলীপ ঘোষ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে জানা গেছে মুকুল রায়কে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ফোন করে তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের যুক্তি গেরুয়া শিবির মানতে নারাজ। বরং তাঁদের কথায় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার সংকটের সময় পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ঠিক একইভাবে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ, বিগত 15 দিন যাবত মুকুল পত্নী হাসপাতালে ভর্তি। এতদিন পর্যন্ত কোন নেতাকেই দেখা যায়নি হাসপাতালে পৌঁছাতে।

যে মুহূর্তে অভিষেক হাসপাতালে পৌঁছেছেন, সেই খবর পাওয়া মাত্রই অন্যান্য বিজেপি নেতারাও তৎপর হয়ে উঠেছেন। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র কটাক্ষ। অন্যদিকে রাজনীতির কারবারিরা মুকুলের সঙ্গে অভিষেকের সাক্ষাৎকে এত সহজভাবে দেখতে রাজি নন। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের পরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিধায়ক এবং সাংসদ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাবার পথে বলে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুভ্রাংশু-অভিষেক সাক্ষাৎ কি নতুন কোন সমীকরণ তৈরি করতে যাচ্ছে? সেক্ষেত্রে কি প্রধানমন্ত্রীর ফোন এই সমীকরণে বদল ঘটাতে সক্ষম হবে? এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!