এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল শিবির কি প্রচারপর্বে কিছুটা এগিয়ে? প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব কি পিছিয়ে দিচ্ছে বিরোধীদের

তৃণমূল শিবির কি প্রচারপর্বে কিছুটা এগিয়ে? প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব কি পিছিয়ে দিচ্ছে বিরোধীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে মাত্র আর কয়েকদিন। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে রাজ্যজুড়ে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে প্রচার পর্বে জোর দিয়েছে রাজ্যের সব ক’টি রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই তৃণমূল তাঁদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি এবং সংযুক্ত জোট প্রার্থী তালিকা এখনো পুরোপুরি প্রকাশ হয়নি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, তাতে একপ্রকার সুবিধাই হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ প্রচারের ক্ষেত্রে ঘাসফুল শিবির বেশ কয়েক কদম এগিয়ে থাকছে। যেমন- ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের এবারের নতুন মুখ পরেশরাম দাস। 138 নম্বর ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দুবার জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলেরই শ্যামল মন্ডল।

কিন্তু এবার শ্যামল মন্ডলকে তৃণমূল নেতৃত্ব দায়িত্ব দিয়েছেন বাসন্তীর। তিনি বাসন্তী বিধানসভা থেকে লড়াই করবেন তৃণমূলের হয়ে। যেহেতু পরেশরাম দাস যেহেতু তৃণমূলের নতুন প্রার্থী ক্যানিং পশ্চিমের, তাই তিনি বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে রাজি নন। ইতিমধ্যে নিজের পরিচিতি বাড়াতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের নতুন প্রার্থী। তৃণমূলের যুব নেতা হিসেবে অনেকেই চেনেন পরেশরাম দাসকে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তিনি পুরোপুরি অনভিজ্ঞ।

যথারীতি তাঁর হয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের দলীয় কর্মী এবং স্থানীয় নেতারা। ইতিমধ্যে ক্যানিংয়ের পশ্চিম এলাকায় পরেশরাম দাসের নামে দেওয়াল লিখন, পোস্টার-ফেস্টুন লাগাবার কাজ চলছে জোড় কদমে। অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নীতি ঠিক করতে ঘনঘন বৈঠকে বসছেন নতুন প্রার্থী। তবে একথা সত্য, ক্যানিং পশ্চিম এলাকায় পুরোপুরি বিরোধী-শূন্য অবস্থায় এই মুহূর্তে প্রচার চালাচ্ছেন পরেশরাম। অবশ্য এসইউসিআই তাঁদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে ওই এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শুধুমাত্র দেওয়াল লিখন শুরু করেছে তাঁরা। মাঠে নেমে প্রচার পর্বে এখনো বেশ কিছুটা দেরি আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি এখনো পর্যন্ত ক্যানিং পশ্চিমের প্রার্থী ঘোষণা করেনি।বিজেপি সূত্রের খবর, কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে এখনও জল্পনা চলছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে সংশয়ে আছে বাম কংগ্রেস সংযুক্ত মোর্চাও। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের এই বিলম্বের সুযোগ নিয়ে এলাকাজুড়ে দাপিয়ে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী পরেশরাম দাস। এলাকার সকলের সাথে জনসংযোগ বাড়িয়ে তুলছেন তিনি।

পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জানিয়েছেন, ক্যানিং পশ্চিমে যে কেউ প্রার্থী হোক না কেন, তাঁকে স্বাগত রাজনৈতিক ময়দানে। তবে সেখানকার মানুষ যে তৃণমূলকেই ভোট দেবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল প্রার্থী। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে গড়িমসির কারণে অন্যান্য দলের থেকে কিন্তু বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকছে তৃণমূল। কারণ তাঁদের রাজ্যের 291 টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কোন রকম সংশয়ের জায়গা রাখেনি তাঁরা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিলম্বের কারণে বিরোধীদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে নাতো?

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!