এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল শিবিরে তীব্র অস্বস্তি- দলে আবার ভাঙনের সুর, গুঞ্জন তীব্র

তৃণমূল শিবিরে তীব্র অস্বস্তি- দলে আবার ভাঙনের সুর, গুঞ্জন তীব্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথেই তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে প্রবল চর্চা শুরু হয়ে গেছে রাজ্যের সর্বত্র। ইতিমধ্যে ভাঙনের কারণে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে দল ছাড়তে দেখা গিয়েছে। চরম অস্বস্তির মুখে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু শাসক দলের এই তীব্র অস্বস্তি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। এদিন যেমন নতুন অস্বস্তি তৈরি হলো তৃণমূলের অন্দরে। হাবড়ার 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন জানিয়ে দিলেন, তিনি এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

তাঁর অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন দলে থাকলেও তাঁকে বরাবরই ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, হাবরা এলাকাটি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অন্যতম এলাকা বলে মনে করা হয়। আর সেখানেই তৃণমূলের অন্দরের এহেন দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি হাবরার অন্যতম তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেটি মুচলেখানামা বলে অভিহিত করা যায়। সেখানে তিনি অন্য দলে না যাবার মুচলেখানামা লেখেন মজার ছলে। আর সেখানেই তিনি লেখেন, ভোটে জিতে গেলে তিনি মেয়াদকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য দলে যাবেন না। দল পরিবর্তন করলে তিনি শাস্তি মাথা পেতে নেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি এই পোস্টের পর দলীয় স্তরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। পাশাপাশি পোস্ট এর বিরোধিতা করেছেন বর্তমান হাবরা এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা। তাঁর মতে, অন্য দলে যে কেউ যেতে পারেন। কিন্তু দলীয় আলোচনা এভাবে ফেসবুকে উঠে আসতে পারেনা। আর এই কথার ভিত্তিতেই উঠে এসেছে জাকির হোসেনের ক্ষোভ। তিনি জানিয়েছেন, দল যেহেতু তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেনা, তাই আগামী 15 তারিখের মধ্যে তিনি যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কর্মী এবং সমর্থকদের কথাতেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা নীলরতন মিত্র তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল শিবিরে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই।

সে কারণেই তৃণমূল ছেড়ে সবাই পা বাড়াচ্ছে বিজেপির দিকে। যদিও গেরুয়া শিবিরে এই মুহূর্তে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবিরের দরজা আবার খুলে যাবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কারণেই দলের ভাঙন যে আরও চওড়া হচ্ছে, সেকথা বলাইবাহুল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এইভাবে যদি ভাঙন চলতে থাকে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল শিবিরকে যথেষ্ট বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করাতে পারে। এবার দেখার, হাবড়ার ভাঙন প্রতিরোধে দলীয় নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!