তৃণমূল উপপ্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দলের একাংশ, আবারও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য July 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের নির্বাচনে রাজ্যে জয় পেলেও তৃণমূল শিবিরে কাঁটার মতন অস্বস্তি হয়ে রয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাঁটা উপড়ে ফেলার জন্য যতই চেষ্টা করুন না কেন, কার্যত তিনি যে সফল হননি তা আবারও প্রমাণিত। সময় যত যাচ্ছে, ততই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। আর এবার বর্ধমানের গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। কার্যত গলসি গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান এবার গোষ্ঠীদ্বদের জেরে ব্যাপকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে এবং তাঁর অভিযোগের তীর দলের একাংশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা তীব্র অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে ঘাসফুল শিবিরে। ঘটনাটি ঘটেছে গলসির গোহগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে। দীর্ঘদিন যাবৎ গোহগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল চলছে। অন্যদিকে মারধোরের ঘটনায় গলসি থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান বিমল ভক্ত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি জানিয়েছেন, একুশে জুলাই শহীদ মিটিং এর প্রস্তুতিতে তিনি ডুমুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। সে সময় যখন তিনি দামোদরের বাঁধ অতিক্রম করছিলেন, তখন তাঁর মোটরবাইক ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী। এরপর তাঁকে অভিযুক্তরা ব্যাপক মারধর করে। তাঁর মোটরসাইকেল নদীর বাঁধের নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট আহত হয়েছেন বলে দাবী করেন। অন্যদিকে উপপ্রধান বিমল ভক্ত অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন আগেই তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। আর তাই তাঁকে মারধর এবং হেনস্থা করা হলো। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে কিন্তু ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তিকে কিন্তু চরম ক্ষতিগ্রস্ত করবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাই আগামী দিনের কথা ভেবে অবিলম্বে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নির্মূল করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই এখন দেখার। আপনার মতামত জানান -