এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে কি আবার বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত? এবার বেসুরো হলেন দলের হেভিওয়েট নেতা তথা কো-অর্ডিনেটর

তৃণমূলে কি আবার বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত? এবার বেসুরো হলেন দলের হেভিওয়েট নেতা তথা কো-অর্ডিনেটর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শিবিরে একের পর এক বেসুরো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল থেকে ইতিমধ্যেই বেসুরো হয়ে বিদায় নিয়েছেন একঝাঁক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক। কিন্তু তাতেও শেষ হবার নয়। এখনো দলের বিভিন্ন স্তরে দেখা পাওয়া যাচ্ছে বিক্ষুব্ধ নেতাদের। আর এবার বিক্ষুব্ধ তালিকায় যোগ হলেন মালদা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক বাবলা সরকার ওরফে দুলাল সরকার। বিগত দিনে শুভেন্দু অধিকারী কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকেই দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল প্রশাসনকে ফেলেছেন  প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে।

তার মধ্যেই এখনো পর্যন্ত যেভাবে দলে থেকে বিক্ষুব্ধ নেতারা মুখ খুলছেন একের পর এক, তাতে তৃণমূল শিবির যথার্থই চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে। মালদা জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর বাবলা সরকার দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কোন অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। বাবলা সরকারের অভিযোগ কি? সে ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন তিনি নিজেই। তিনি জানান, দল তাঁকে সবসময় সেকেন্ড ম্যান করে রেখেছে। তাঁকে কোনরকমভাবেই সেনাপতির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছেনা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, মালদা জেলায় এক সময় তিনি মার খেয়েও রাজনীতি করে গেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সবশেষে বিক্ষুব্ধ মনোভাব নিয়ে তিনি জানান, এবার থেকে তিনি আর কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বাবলা সরকারের এই মন্তব্যের পরেই রাজ্য নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ক্ষোভ সামলানোর জন্য দুলাল সরকারকে ফোন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মালদা জেলার তৃণমূল সভাপতি জানান, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সুব্রত বক্সী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ব্যাপারটি দেখবেন। তবে বাবলা সরকারের অভিযোগ সত্যি নয় বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, মালদা জেলায় বাবলার সরকার পাঁচবারের কাউন্সিলর হয়েছেন। পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

একসময় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ছিলেন। এরপর তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতি, তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি, যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ক্রমান্বয়ে। তার পরেও দলের প্রতি আচমকা এতটা বিক্ষুব্ধ মনোভাবের কারণ কি? তা নিয়েই চলছে এখন কাঁটাছেঁড়া। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে তৃণমূলে ভাঙনের প্রাবল্য দেখা যাচ্ছে, তাতে গেরুয়া শিবির কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বলাই যায়। এই মুহূর্তে বিজেপির আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল শিবির আর কাউকে হাতছাড়া করবেনা বলই মনে করা হচ্ছে। তাই বাবলা সরকারের মানভঞ্জন করতে তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সে দিকেই নজর থাকবে সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!