এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে কি এবার বড়োসড় দলীয় পরিবর্তন? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

তৃণমূলে কি এবার বড়োসড় দলীয় পরিবর্তন? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচনে ইতিমধ্যে ব্যাপক ভোট এসেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। বহুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তৃণমূলের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে জয়ের পর প্রথমবার সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামী 5 জুন কালীঘাটে, যেখানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কালীঘাটে ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছেন দলের নবনির্বাচিত বিধায়করা ছাড়াও সাংসদ এবং জেলা সভাপতিরা।

একইসাথে অনুমান করা হচ্ছে 2024 এবং 2026 অর্থাৎ আগামী লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলকে আরও সাংগঠনিক এবং শক্তিশালী করে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের একাংশের অনুমান, হয়তো এবার থেকে দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির সূত্রপাত হবে। সেক্ষেত্রে দলীয় সংগঠন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করা অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ নেতা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূলের অন্দরে যদি এবার এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় তাহলে বর্তমানে মন্ত্রী এবং জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন যেসব হেভিওয়েট নেতারা, তাঁদের অনেককেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

যেমন উত্তর 24 পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি এবং বর্তমানে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি অনুমান অনুযায়ী যদি দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির চালু হয় সেক্ষেত্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। একই সাথে পদ ছাড়ার তালিকায় থাকছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি তথা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, হাওড়া জেলার গ্রামীণ তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় এবং শহর সভাপতি পুলক রায় বর্তমানে রাজ্যের দুই দপ্তরের মন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আপাতত তৃণমূলের লক্ষ্য ধরে নেওয়া হচ্ছে 2024 এর লোকসভা নির্বাচন। আর সামনের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক শক্তির পরিচয় দিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করাই এই মুহুর্তে সবথেকে বড়ো কাজ। সেক্ষেত্রে রাজ্যের 42 টি আসন অনেকটাই সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু তৃণমূল জয়ের মুখ দেখলেও গেরুয়া শিবির কিন্তু এ রাজ্যে তাঁদের আসন সংখ্যা দাঁড় করিয়েছে 18 য়, যা লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তাই এবার আগাম সাবধানতা। এই মুহূর্তে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম লক্ষ্য 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে দলকে বিপুল জয় এনে দেওয়া। সেক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল শিবিরের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যেতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে তৃণমূলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। আপাতত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নজর, আগামী 5 ই জুন সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে শক্তিশালী করার জন্য সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নতুন কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!