তৃণমূলের আমলে উন্নয়ন! ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত করা রাস্তা টিকল না একমাসও! উঠছে বড়সড় প্রশ্ন তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি September 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু লাখ লাখ টাকা খরচ করে উন্নয়ন করলেও দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু জায়গায় উন্নয়ন যথারীতি ভেঙে পড়ছে। সম্প্রতি ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত হয়েছে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুর থেকে সিঙ্গুরের বড়া পর্যন্ত। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এই রাস্তার অবস্থা হয়ে গেছে অত্যন্ত খারাপ। যথারীতি মমতা সরকারের উন্নয়নের দিকেই প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। জানা যাচ্ছে উদ্বোধনের একমাস গড়াতে না গড়াতেই রাস্তা ফুটিফাটা হয়ে গেছে। যদিও পূর্ত দপ্তর থেকে জানানো হচ্ছে, রাস্তার নিচে জলের পাইপ ফেটে গেছে বলেই নতুন রাস্তার এই বিপত্তি। তার সাথেই ভারী গাড়ি চলাচল করাতে ফাটল আরো বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ফাটল বোজানোর কাজ শুরু হয়েছে। গত বছরের শেষদিকে পূর্ত দপ্তর থেকে নওগাঁ মোড় থেকে পিয়ারাপুর, বড়া, কাঁপাসহাড়িয়া, বেগমপুর, জনাই হয়ে চণ্ডীতলা বাজার পর্যন্ত 18 কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে 26 কোটি টাকা। আপাতত বেগমপুর স্টেশন থেকে আদান পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ ছাড়া সমস্ত রাস্তার কাজ শেষ। রাস্তা উদ্বোধনও হয়ে গেছে। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই রাস্তার পিচ চটতে শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অনেকেই মনে করছেন, রাস্তা সঠিক পদ্ধতি মেনে তৈরি হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে কাঁচামালের মান নিয়েও। রাস্তা প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে পূর্ত দপ্তরের সহকাী বাস্তুকার উৎপল মাইতি এ দিন জানান, রাস্তার নিচ দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের জলের পাইপ গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জলের পাইপ ফেটেই রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। তবে পূর্ত দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঠিকাদার সংস্থা বর্ষা-বিদায়ের পরেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সারিয়ে দেবে।জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভূগর্ভস্থ পাইপ ফেটে সমস্যা হলে তার ব্যবস্থা করা হবে। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, ভারী যানবাহন চলাচলও রাস্তার ক্ষতি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই কথাকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ি ভাঙা রাস্তা দিয়ে অহরহ চলাচল করলে রাস্তার অবস্থা যে আরো দুঃসহ হয়ে উঠবে সে কথা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে এলাকার উন্নয়ন এক মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে পড়ার কারণে বিরোধীরাও সুযোগ পেয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি উন্নয়নকেই হাতিয়ার করতে হয় তাহলে সেই হাতিয়ার মজবুত ভাবেই তৈরি করা উচিত। ছাব্বিশ কোটি টাকার উন্নয়ন এভাবে ভেঙ পড়ার কারণে খুব স্বাভাবিভাবেই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তির মুখে বলে মনে অকরা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -