এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য গড়ে নিঃসাড়ে কাজ করে চলেছে সঙ্ঘ! গেরুয়া ঝড় কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?

তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য গড়ে নিঃসাড়ে কাজ করে চলেছে সঙ্ঘ! গেরুয়া ঝড় কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বাংলার যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলি উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে যে বিভিন্ন দলগুলি একে অপরকে টেক্কা দিতে চাইছে বাংলার মসনদে দখলে, তাদের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি অন্যতম। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপি বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে বাংলায় জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে। দক্ষিণ 24 পরগনায় সাধারণত ঘাসফুল শিবিরের জয়জয়কার শোনা গেছে এতদিন।

সিপিএমের পর তৃণমূল অধিকার করেছে সুন্দরবন অঞ্চল। কিন্তু এবার সবুজে ভাগ বসাতে তোড়জোড় শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেক্ষেত্রে লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর বনে নিজেদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিজেপির অন্যতম সংগঠক বলে পরিচিত। সুন্দরবনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগাতে লকডাউন এর মধ্যেই এবার কর্মসংস্থান তৈরি করছে আরএসএস। করোনাকালে লকডাউনের মধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরে এসেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি কাজ হারিয়ে নিতান্তই বেকায়দায় পড়েছেন তাঁরা। এই অবস্থায় একশ কুড়িটি গ্রামীণ পরিবারকে সাথে নিয়ে দুবছরের জন্য একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে আরএসএস। আরএসএসের একটি সংগঠন সমাজ সেবা ভারতী এই উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এই সংস্থাটি সুন্দরবন এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি মহিলাদের দিয়ে সেলাই, টিপ বানানো, ব্যাগ তৈরি ইত্যাদি প্রকৃতিবান্ধব পণ্য তৈরি, যেমন- পাঁপড়, আচার, ঘরে তৈরি মিষ্টি ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে কর্মোদ্যোগী হতে সাহায্য করছে।

আর তার সাথেই গেরুয়া শিবির এলাকার মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়াচ্ছে বলে খবর। এতদিন পর্যন্ত সুন্দরবন তৃণমূলের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু কালে কালে যেভাবে বিজেপি এলাকায় ভাঙ্গন ধরাচ্ছে, তাতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সুন্দরবন নিয়ে চাপে পড়তে হতে পারে তৃণমূলকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই অবস্থায় এলাকার দখলদারিত্বে যে উভয়েই এগিয়ে থাকতে চাইবে, সে কথা অনস্বীকার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!