এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলের অভিযোগের তীর মোদী-শাহ জুটির দিকে, কমিশনের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ দায়ের

তৃণমূলের অভিযোগের তীর মোদী-শাহ জুটির দিকে, কমিশনের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ দায়ের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে চলছে বাংলার মসনদ দখলের লড়াই। সম্পূর্ণ লড়াইয়ের 4 পর্ব সমাপ্ত হয়েছে, এখনও 4 পর্ব সমাপ্ত হতে বাকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে এবার কড়া টক্কর দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিজেপিকে শক্তি যোগাতে ক্রমাগত কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবির থেকে নেতা-মন্ত্রীরা এ রাজ্যে এসে চলেছেন, বাদ নেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।  প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে কখনো কখনো শালীনতার সীমা লংঘন করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর সেই অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের কাছে।

তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় প্রচারে এসে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কল্যাণীর জনসভার কথা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কল্যাণীর জনসভায় নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেস মতুয়াদের জন্য কিছু করেনি। আর এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লংঘন করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি গত 10 এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলির পর শিলিগুড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের প্রচারে এসে যেভাবে প্রতিদিন জাতি নিয়ে মন্তব্য করে চলেছেন, তা নির্বাচনী বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় দাবি করেছেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেকটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধারে গুন্ডা বলছেন, অন্যদিকে আবার বিভিন্ন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিকৃতভাবে সম্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী তা যথেষ্ট অপমানজনক। প্রসঙ্গত এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই  এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমহার্স্ট স্ট্রীট থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে।

তাঁদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর দিদি সুরে ডাকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ইভটিজিং বেড়ে চলেছে। প্রচুর সাধারণ মহিলারা কটূক্তির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। একই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে নিয়েও অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাজবংশী এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে ক্রমাগত ভেদাভেদ তৈরি করার মতন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছে, তাই অমিত শাহের এরাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি তোলা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদৌ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে রাজনৈতিক মহলে। আপাতত নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা নিয়ে চলছে জোরদার আলোচনা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!