তৃণমূলের ‘বাতিল ঘোড়ারাই’ বিজেপিতে? কর্মী-সমর্থকরা এখনও দলের পাশে? নিশ্চিন্ত পার্থ-সুখেন্দু কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে বাংলার নজর কেড়েছে শাসকদলের ভাঙন। বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে ওঠার সাথে সাথে যেভাবে তৃণমূল শিবিরের বেসুরো নেতা, বিধায়করা একে একে পাততাড়ি গুটোতে শুরু করেছেন, তা এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। তবে দলবদল হলেও মানুষ যে তৃণমূলের পাশেই আছে সে দাবি করে চলেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে, একদিকে যেমন গেরুয়া শিবির তৃণমূলের বেসুরো বিধায়কদের নিয়ে দলভারী করছে, ঠিক সেভাবেই একুশের বিধানসভার নির্বাচনে 200 র বেশি আসন নিয়ে বাংলার মসনদে যে বিজেপি আসছে সে দাবিও জানিয়ে যাচ্ছেন অহরহ বিজেপির ছোট, বড় নেতারা। অন্যদিকে তৃণমূল শিবির গেরুয়া দলের এই দাবিকে মোটেই পাত্তা দিতে রাজি নয়। পাল্টা তৃণমূল থেকে বলা হচ্ছে শাসকদল থেকে যে বা যারাই চলে যাক না কেন, বাংলার সর্মথকরা কিন্তু তৃণমূলের সাথেই রয়েছেন। আর এই সমর্থকদের সাহায্যেই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী আবারও হতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কদিন পড়েই হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি দল নেমে পড়েছে জোরদার প্রচারে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে এই অবস্থায় রাজ্যের প্রতিটি দল বাংলার মানুষকে কাছে টানতে বদ্ধপরিকর। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল শিবির ছেড়ে আসাদের নিয়ে দলভারী করার দিকেই নজর দিয়েছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি তৃণমূল থেকে যেভাবে প্রায় প্রতিদিনই দল ভেঙে নেতা, বিধায়ক, সাংসদরা গিয়ে গেরুয়া শিবিরে ঢুকছেন তাতে বিজেপির আত্মবিশ্বাস একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো তুঙ্গে উঠেছে। তবে তৃণমূল থেকে দলবদলের বিষয় নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে রাজি নয়। এই মুহূর্তে দলের তরফে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের তিন মাস আগে কে থাকবেন, কে যাবেন তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেত্রী থাকবেন এবং বাংলার মানুষও সমর্থক হিসেবে থাকবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একই কথা জানালেন এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের আর এক সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের বাতিল ঘোড়ারাই এখন অন্য দলে যাচ্ছে। আবার এরকমও হচ্ছে অন্য দলে যাবার পরেই আবার পুরনো দলে ফিরে আসছেন। তবে সুখেন্দু শেখর রায় গেরুয়া শিবিরের দিকে নাম না করেও অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, ভোটের আগে ভয় দেখিয়ে নেতাদের ভয় দেখিয়ে দলভাঙা চলছে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, গেরুয়া শিবিরে গেলেই এখন সমস্ত দোষ মাফ হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, ‘ওয়াশিং মেশিনে’ ময়লা সাফ হয়ে যাচ্ছে। আর এ দিন সুখেন্দু শেখর রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকেই সমর্থন করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তৃণমূল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উন্নয়নের তরী ভাসিয়ে নির্বাচন জিততে চাইছে। সেক্ষেত্রে বাংলা কিভাবে দেশের সেরা হয়েছে সেই তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে, পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন খামতিও তুলে ধরা হচ্ছে মানুষের সামনে। যার মধ্যে সদ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা বিতর্কিত কৃষি আইন সর্বাগ্রে উঠে এসেছে। সবমিলিয়ে বাংলার বুকে এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা। একুশের নির্বাচনী লড়াই যে রাজ্যের প্রতিটি দলকেই চাপে রাখছে, সে কথা স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিন দিন। আপনার মতামত জানান -