‘তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হল। তৃণমূল যে ধুলিসাত্ হয়ে যাবে সন্দেহ নেই।’ বিস্ফোরক অধীর! কংগ্রেস কলকাতা রাজনীতি রাজ্য November 28, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব কারো অজানা নয়। সেইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা নিয়ে তোলপাড় চলছে তৃণমূলে।আর এমন সময়ই বাংলার শাসকদল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হল।’ এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাপুড়ের মতো বিজেপিকে বাংলায় ডেকে এনেছিলেন। তাই বিজেপি বহিরাগত ওঁর মুখে মানায় না। যেমন সাপুড়েকে সাপের ছোবলে মরতে হয়, তেমনই তৃণমূলের ললাটেও সেই কথা লেখা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, বাম-কংগ্রেস নেতাদের কথায় প্রায়ই শোনা যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই নাকি বাংলায় বিজেপি জমি শক্ত করেছে। এদিন এই কথাটাই আরও রূঢ় ভাবে বলতে শোনা গেছে কংগ্রেস নেতাকে। তাঁর কথায়, “বিজেপির সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ছিল কেন?” শুধু তাই নয়, গোধরায় দাঙ্গার পরেও কে বিজেপির সঙ্গে থেকে এনডিএ-তে থেকে গিয়েছিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “কে কথায় কথায় লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে, অফিসে ছুটে যেতেন? মানুষ কি ভুলে গেছে মনে করেছেন!” শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ তুলে এদিন তিনি কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল কখনও মর্যাদা দেয়নি। শুধু কাজ করিয়ে নিয়েছে। তাঁর কথায়, তিনি নন্দীগ্রামে গিয়ে দেখেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলন করেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ ব্যাপারেও রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের সমালোচক বিরোধীদের বারবার মাওবাদী নেতা কিষেনজির উদাহরণ দিতে দেখা গেছে। তাঁদের কথায়, যে কোটেশ্বর রাওরা জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে বাড়তে সাহায্য করেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই এনকাউন্টার ঘটে যায়। অনেকে মতে আবার, ‘এটাই তৃণমূলের স্বভাব। কজের বেলা কাজি, কাজ ফুরোলে কিষেনজি।’অধীর চৌধুরীর কথায়, শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না বলেই দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর এই কথাকে অনেকাংশে মেনে নিয়েছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। তাঁদের মতে, অধীর চৌধুরীর কথা অমূলক নয়। কারণ দুই মেদিনীপুর সহ পশ্চিমাঞ্চলে সেই সময়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন সেটা যদি ঠিক হয়, তাহলে এর ভবিষ্যত কি হবে। সেক্ষেত্রে তিনি যদি বিজেপিতেও যান তাহলে কংগ্রেসের এত উচ্ছ্বাসের কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী কোথায় যাবেন সেটা তাঁর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু তৃণমূল যে ধুলিসাত্ হয়ে যাবে সেটাতে সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন তিনি। আর বাম-কংগ্রেসের এই জোট থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও মজবুত ও শক্তিশালী হবে বলেই আশা রাখতে দেখা গেছে তাঁকে। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -