এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে কি জেলা তৃণমূল সভাপতির হাত? গুঞ্জন সেরকমই

তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে কি জেলা তৃণমূল সভাপতির হাত? গুঞ্জন সেরকমই

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময় যত যাচ্ছে, ততই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল হচ্ছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এই অন্তর্কলহের জেরে একে একে দল ছেড়েছেন অনেকেই। আর এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আরেক নিদর্শন দেখা গেল মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটায়। সম্প্রতি নাগরাকাটা ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি মনোজ মুন্ডাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মনোজ মুন্ডা। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগের আঙুল তোলেন তৃণমূল জেলা সভাপতির দিকে।

এদিন মনোজ মুন্ডা বলেন, মজদুরদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনের জন্য ব্লক সভাপতির পদ থেকে শোকজ না করেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর পেছনে দায়ী একমাত্র কিষান কল্যাণী। মনোজ মুন্ডা এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কিষাণ কল্যাণী এর আগেও মনোজ মুন্ডাকে হুমকি দিয়েছিলেন, দাবি ফেরত নেওয়ার জন্য। না হলে আগামী দিনে যে মনোজ মুন্ডার জন্য খুব একটা ভালো কিছু হবে না সে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এদিন মনোজ মুন্ডা জানান, এই হুমকির উত্তরে তিনি কিষাণ কল্যাণীকে জবাব দিয়েছিলেন যেহেতু তিনি মজদুরদের নেতা এবং মজদুরদের বাড়ির ছেলে, তাই মজদুরদের জন্য লড়াই করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মনোজ মুন্ডা আরও জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলে এসেছিলেন। আজ চ্যাংমারী চা-বাগানের আন্দোলনের জন্য ব্লক সভাপতির পদ থেকে মনোজ মুন্ডাকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণীকে পাল্টা একহাত নিয়েছেন মনোজ মুন্ডা। মনোজ অভিযোগ করেন, কিষাণ কল্যাণী ভয় পেয়েছেন। কারণ যদি চা বাগানের শ্রমিকদের দাবি পূরণ হয়, তাহলে যেহেতু কিষাণ কল্যাণী নিজে চা বাগানের মালিক, সেক্ষেত্রে তাঁকেও সমস্ত দাবি পূরণ করতে হবে শ্রমিকদের। পাশাপাশি মনোজ মুন্ডা জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করবেন, যাতে চা বাগানের মালিক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে কিষাণ কল্যাণীকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকেই তিনি যে মজদুরদের জন্য লড়াই করবেন, সে বার্তাই দেন তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরবঙ্গের মাটি যখন বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ের জন্য একটু একটু করে শক্ত করছে তৃণমূল, ঠিক সেইসময় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কিছুটা অস্বস্তিতে শাসক শিবির। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, মনোজ মুন্ডাকে যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল শিবিরে মজদুর অংশে ভাঙন ধরতে পারে, যা ভোটের আগে মোটেই সুখকর হবে না রাজ্যের শাসকদলের জন্য। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে কি হয়, সেদিকেই এখন নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!