এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সরব, চাঞ্চল্য রাজ্যজুড়ে

তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সরব, চাঞ্চল্য রাজ্যজুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোরজোড়। একদিকে যেমন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল মসনদ ধরে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যের গেরুয়া শিবির কিংবা বাম-কংগ্রেস জোট শক্তি মসনদ দখল করার লড়াইয়ে নেমেছে। তবে মসনদ দখলে এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন ভোটের কারবারীরা। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে রাজ্য গেরুয়া শিবিরে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা গিয়ে যোগ দিয়েছেন। আর এবার সরকারিভাবে রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য জয়ের বার্তা দিলেন। সেক্ষেত্রে তিনি তৃণমূলের দুর্নীতির কথাই তুলে আনলেন।

প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন পরের লক্ষ্য এবার বাংলা। এমনকি বাংলার প্রশাসনকেও তিনি কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের দুর্নীতিসহ রাজনৈতিক হিংসার প্রসঙ্গ তুলে। রবিবার নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন হলদিয়াতে সরকারি সভায়। আর সেখান থেকেই পশ্চিমবাংলার প্রশাসনের দিকে তিনি কড়া বার্তা দিলেন সংবিধান মেনে কাজ করার। পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠেও উঠে এসেছে তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজদের ভয় না পেয়ে কাজ করতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রশ্ন উঠছে যখন রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্যের প্রশাসন একই, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কোন প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে একথা বললেন? সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যের যেসব প্রশাসনিক আধিকারিকরা গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বার্তা। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতারা বরাবর অভিযোগ করে থাকেন, বাংলার শাসক দল দুর্নীতিকে আশ্রয় করে প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করেছে। তাঁদের অভিযোগ- তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার সাথে সাথে হয়রানি  করা হয়।

সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীও যে রাজ্যের বিরোধীদের সুরে সুর মেলালেন, সে কথা স্পষ্ট হলো হলদিয়ার সভা থেকে। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ডঙ্কা ইতিমধ্যেই বেজে গেছে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলদিয়ায় এসে যেভাবে শাসকদলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন, তাতে রাজ্যের শাসক দল যে যথেষ্ট চাপে পড়ল সে কথা বলাইবাহুল্য। এবার দেখার, প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের ওপর ভরসা রেখে গেরুয়া শক্তিকে রাজ্যের মানুষ ভোট দিয়ে বিজয়ী করে কিনা!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!