এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর, জেনে নিন

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের নেতাকর্মী তথা সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৃণমূল দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোরও তৃণমূল দলের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তৃণমূল দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে অন্য দল থেকে সদস্যদের ভাঙিয়ে এনে তৃণমূল দলভুক্ত করার কাজেও উঠে-পড়ে লেগেছেন পিকে। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একাধিকবার দেখা দিচ্ছে বিভেদ, মতভেদ, মতান্তর। যা ক্রমাগত বাড়তে বাড়তেই অনেক সময় রূপ নিচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। এরফলে দলের বাঁধন আলগা হয়ে পড়ছে নানা স্থানে।

শাসক দল তৃণমূল এর অন্দরে বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতকাল রাতে এমনই এক ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর এলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। যেখানে ঘটে গেলো শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র মারামারি ও বোমাবাজি।

স্থানীয সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের দামোদরচকে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বচসার সৃষ্টি হয়। এই বচসা ক্রমে রূপ নেয় মারামারি-হাতাহাতির। এরপর শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তুমুল বোমাবাজি। যার ফলে রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করে কেশপুর এলাকা। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় ১৫ বছর বয়স্ক শেখ আজাহার আলি ও ৩৮ বছর বয়স্ক নাসিম শেখ। বোমের বিকট শব্দে আতংকিত হয়ে পড়ে সমগ্র এলাকাবাসী।

শাসকদলের এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ ও বোমাবাজির খবর পুলিশের কাছে পৌঁছালে বিরাট বাহিনী নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের সামনেও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে তাদের মারামারি ও বোমাবাজি। পুলিশের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে যথেষ্ট বেগ পেতে হলো পুলিশকে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় সূত্রের খবর, গতকাল বোমাবাজিতে জখম গুরুতর জখম হয়ে পড়া ১৫ বছর বয়স্ক শেখ আজাহার আলি ও বছর ৩৮ এর নাসিম শেখকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুরুতর আঘাতের কারণেই তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এখনো কেশপুর এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে রয়েছে। শাসকগোষ্ঠী গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে দুজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় মানুষে যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাঁদের দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে কেশপুর অঞ্চলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ” এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সেলিমের সঙ্গে তাঁর কাকা শেখ আফতারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছে। তার জেরেই এই ঘটনা।”

ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর যখন তৃণমূল দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজে নানাভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন। সেসময় দলের অন্দরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শাসক দলের কাছে একটি বিরাট অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!