প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূলের একমাত্র মুখ যে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা এদিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর কথায় স্পষ্ট হয়ে গেলো। রায়গঞ্জের দলীয় বৈঠক থেকে ফিরহাদ হাকিম বার্তা দিলেন, দলের সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর। প্রসঙ্গত, তৃণমূল শিবিরে বর্তমানে চলছে ভাঙনের রাজনীতি। একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক প্রায় প্রতিদিনই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। পাশাপাশি দলীয় অন্তর্কলহ তো থামার নামই নিচ্ছেনা।

এই অবস্থায় রায়গঞ্জের সাংগঠনিক সভা থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিলেন, বুথে বুথে গিয়ে প্রচার করার। মানুষের পাশে থেকে মানুষের সমস্যার সমাধান করার জন্য দলীয় কর্মীদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রভবনে জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। আর সেখানেই তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, এক পরিবারের ঝগড়া হতেই পারে কিন্তু সেই ঝগড়া যেন রাস্তায় নেমে আসে।

এবং তখনই তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে তৃণমূল দলটাই থাকবে না। আর তাই গেরুয়া শিবিরের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে বুথে বুথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এদিন পুরমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিলেন, বিজেপিকে ঠেকানোর একমাত্র অস্ত্র হলো তৃণমূল। কারণ তৃণমূলের কাছে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 23 শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন এদিন ফিরহাদ হাকিম।

কিন্তু সভার মাঝেই অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসে পড়ে যা শাসকদলকে তীব্র অস্বস্তিতে ফেলেছে। শুধুমাত্র বসার জায়গা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় উপস্থিত এক কাউন্সিলর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে তৃণমূল নেত্রী যতই রাজনৈতিক চমক দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূল কিন্তু দলীয় অন্তর্কলহের কারণে যথেষ্ট কোণঠাসা। আর তারই সুযোগ নিচ্ছে রাজ্যের বিরোধী শক্তিগুলি। অতএব অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে না পারলে একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতা অধরাই থেকে যাবে তৃণমূলের কাছে।