এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের মিটিংয়ে যাই নি, তাই ঘর দেয় নি! দুয়ারে সরকার নিয়ে গিয়ে অভিযোগের পাহাড় শুনছে ঘাসফুল

তৃণমূলের মিটিংয়ে যাই নি, তাই ঘর দেয় নি! দুয়ারে সরকার নিয়ে গিয়ে অভিযোগের পাহাড় শুনছে ঘাসফুল


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল নেত্রী ‘দুয়ারে সরকার’ নামক নতুন একটি কর্মসূচী শুরু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ শোনা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচীতেও একই ভাবে মানুষের সমস্যার কথা শোনা হয়েছিল। অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বরাবরই গেরুয়া শিবির অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে তাঁরা দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে। এদিন তারই প্রমাণ পাওয়া গেল। বিষ্ণুপুর পুরসভার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রথম দিনে শিবিরে আসা এসডিওকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বেশ কিছু প্রান্তিক মহিলা জানান, তৃণমূলের মিটিংয়ে না যাওয়ার কারণে তাঁরা নাম থাকা সত্বেও বাড়ি পাননি।

এই অভিযোগ ওঠার পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। যদিও জানা গেছে, এসডিও তাঁদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন। মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর পুরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জ ষষ্ঠীবটতলা এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প হয়। আর সেই ক্যাম্পেই এহেন অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার এদিন পাল্টা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রাজ্যের তৃণমূল সরকার দলীয় কাজে দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যবহার করে আসছে। বিষ্ণুপুরের ঘটনা নমুনা মাত্র। সারা জেলাতেই এই ঘটনা ঘটে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ জবাব দেবে।

অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা পাল্টা বলেছেন, ‘‘রাজ্যে অনেক কাজ হয়েছে। আরও কিছু বাকি আছে কি না, তা জানতে মুখ্যমন্ত্রী ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এমন সাহস দেখাতে পারবেন? বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার কাজ না করে, মানুষকে নানা ভাবে শুধু বিপদে ফেলছে। অভিযোগ শোনার দম নেই ওদের।’’ প্রসঙ্গত, এদিন ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের এসডিও অনুপ কুমার দত্ত। তিনি যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন এলাকার বেশ কয়েকজন প্রান্তিক মহিলা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা বলতে থাকেন, সরকারি প্রকল্পে পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করায় তালিকাতে তাঁদের নাম থাকা সত্বেও তাঁরা বাড়ি পাননি।

অথচ এলাকায় যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে, তাঁরা সরকারি প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কেন তাঁরা ঘর পাননি? আর তখনই ওই প্রান্তিক মহিলারা আসল রহস্য ফাঁস করেন। তাঁরা বলেন, বিষ্ণুপুর পুরসভার তৃণমূল নেতারা তাঁদেরকে মিটিংয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁরা পরিচারিকার কাজ করেন, তাই তৃণমূলের মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারেননি। আর তাই তালিকাতে নাম থাকা সত্বেও তাঁরা পাকা বাড়ি পাননি। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের এসডিও জানিয়েছেন, তিনি সমস্যার সমাধান করবেন। অন্যদিকে ওই মহিলাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানান, এ ধরনের অভিযোগ আগে নজরে আসেনি। মানুষের সমস্যা মেটাতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তাই সমস্যা মেটানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। ইঁদপুর গোয়েঙ্কা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হবার কথা শুনে মানুষ ভিড় জমান। কিন্তু তারপর জানা যায়, শিবির হচ্ছে কয়েকশ মিটার দূরের ইঁদপুর পঞ্চায়েত অফিসে। ইঁদপুর ধরমপুর গ্রামের আরেক প্রবীণ বাসিন্দা এদিন অভিযোগ করেন, বারবার আবেদন করেও তিনি বার্ধক্য ভাতা পাননি। অন্যদিকে ইঁদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিভ্রান্তির কারণে ব্লক প্রশাসকে দোষারোপ করেছেন।

অন্যদিকে ইঁদপুরের বিডিও মনীশ নন্দী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই শিবিরের জায়গা বদল হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাঁকুড়া জেলার ব্লক এবং তিনটি পুর এলাকা মিলিয়ে মোট 27 টি ‘দুয়ারে সরকার’ এর শিবির হয়। বিকেল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, গোটা বাঁকুড়া জেলা জুড়ে প্রায় 13200 মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার অভিযোগ তুলেছেন, ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের ভিড়ে করোনার বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। অনেকেই মাস্ক পরে আসছেন না। কিন্তু জেলাশাসক জানিয়েছেন, লোকজন যাতে মাস্ক পড়ে শিবিরে আসেন এবং নিরাপদ দূরত্ব বিধি মেনে চলেন তা নিয়ে প্রচার আগেই হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে বিডিও যাতে নজর রাখেন, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দলীয় মিটিংয়ে না যাওয়ার কারণে সরকারি প্রকল্পের ঘর হাতছাড়া হয়েছে- এরকম অভিযোগ সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে জমা পড়া অভিযোগ থেকে বোঝা যাচ্ছে, মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভ জমে রয়েছে। একদিকে যেমন তৃণমূল ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প করে নিজেদের ভুল ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই বিজেপি রাজ্য সরকার পরিচালিত শিবিরে জমা পড়া অভিযোগ তুলে ধরে পাল্টা আক্রমণ করছে তৃণমূলকে। আপাতত দেখার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রথম দিনে যে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়ল, তার সমাধানে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!