এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের নীচুতলায় দুটি করে কমিটি, বিভ্রান্তি বাড়িয়ে ভোটের আগে চূড়ান্ত অশান্তি শাসকের সংসারে

তৃণমূলের নীচুতলায় দুটি করে কমিটি, বিভ্রান্তি বাড়িয়ে ভোটের আগে চূড়ান্ত অশান্তি শাসকের সংসারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব এই মুহূর্তে লাগামছাড়া বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনমতেই এই অন্তর্দ্বন্দ্ব আয়ত্তে আনতে পারছেন না শীর্ষনেতৃত্ত্ব। এই অবস্থায় দলের ভাঙন অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের। এই অবস্থায় ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হচ্ছে দলকে একজোট করে সঙ্ঘবদ্ধ করার। 

কিন্তু তারই মধ্যে নতুন করে তুফানগঞ্জ এলাকায় শুরু হয়েছে শাসক শিবিরের অন্তর্কলহ। এর মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে প্রচারে আসতে চলেছেন। কিন্তু তার আগেই যেভাবে দলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসছে, তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট চাপের মুখে তৃণমূল শিবির। সমস্যা শুরু হয়েছে অঞ্চল কমিটি ঘোষণা নিয়ে।

কিছুদিন আগেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় তুফানগঞ্জ 2 ব্লকের অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেন, কিন্তু দলের একাংশ তাঁর ঘোষিত অঞ্চল কমিটি মানতে রাজি নয়। এই অবস্থায় ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন পাল্টা অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করে সভাপতি ও সহ-সভাপতির নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। স্পষ্ট হচ্ছে জেলা এবং ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে চরম বিরোধিতা। 

পাশাপাশি নিচুতলার কর্মীরাও এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিভ্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, তিনি দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলবেন না। এ ব্যাপারে দলীয় স্তর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে তৃণমূলের সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন জানিয়েছেন, তিনি অঞ্চল কমিটি গঠনের জন্য দলের জেলা সভাপতিকে কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা সভাপতি নিজের লোকেদের নিয়ে অঞ্চল কমিটি তৈরি করেছেন, যা দলের একাংশ মানতে পারছেন না। তাই কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি নতুন অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেছেন। 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা শুরু করেছে তীব্র কটাক্ষ। বিজেপির তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযোজক উৎপল দাস জানিয়েছেন, তৃণমূলের এই মুহূর্তে কোন গঠনতন্ত্র নেই। ছোট, বড় সবাই দলের সবাই কাটমানি খেতে অভ্যস্ত। তাই কাছের লোককে কমিটিতে রাখার জন্যই মরিয়া। প্রসঙ্গত, তুফানগঞ্জ 2 ব্লকে 11 টি অঞ্চল রয়েছে।

তার মধ্যে ব্লক সভাপতি শালবাড়ি 1, ভানুকুমারী 2 এবং বারোকোদালী 2 অঞ্চল সভাপতি এবং সহসভাপতিদের নিয়োগপত্র দিয়েছেন ইতিমধ্যেই ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন ভানুকুমারী অঞ্চলের সভাপতি হিসেবে সুজিত ঘোষ এবং বারোকোদালী অঞ্চলের সভাপতি ফটিক বর্মার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

 রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল শিবিরে যেভাবে অন্তর্দ্বন্দ্ব মাত্রাছাড়া হারে বেড়ে চলেছে, তাতে গেরুয়া শিবির যে যথেষ্ট সুবিধা পাচ্ছে সে কথা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবিরের ভাঙনের সুযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবির দলভারী করা শুরু করেছে। এই অবস্থায় কোচবিহার জেলার তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আটকাতে শীর্ষ নেতৃত্ব এবার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সে দিকেই চোখ থাকবে সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!