এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার পদক্ষেপের পরেই জঙ্গলমহলে পা রাখলেন কৈলাশ-মুকুল! নামল জনসাধারণের ঢল! ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?

মমতার পদক্ষেপের পরেই জঙ্গলমহলে পা রাখলেন কৈলাশ-মুকুল! নামল জনসাধারণের ঢল! ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূল পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। সে জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল দলনেত্রী আবারও জঙ্গলমহলের কর্তৃত্ব ফিরে পেতে আগ্রহী। কিন্তু গেরুয়া শিবির এত সহজে জঙ্গলমহলের কর্তৃত্ব ছেড়ে দেবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর তা প্রমাণ হয়ে গেল জঙ্গলমহলের দুই জেলায় বিজেপির সভায়। প্রসঙ্গত, বরাবরই জঙ্গলমহলের জন্য তৃণমূল নেত্রী উন্নয়নের ধ্বজা উড়িয়ে ভোট আনতে চেয়েছেন।

কিন্তু উনিশ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর পরিকল্পনা কিন্তু কাজ করেনি। আর সেক্ষেত্রে কাটাছেঁড়া করে দেখা গিয়েছে, নিচুতলার দুর্নীতি বড় অংশে দায়ী। অন্যদিকে মঙ্গলবার জঙ্গলমহলের মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় সভায় যে ব্যাপক জনসমাগম দেখা গেল, তাতে 21 এর বিধানসভা নির্বাচনে আগে গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস রীতিমতো তুঙ্গে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদায় সভা করে বিজেপি।

আর সেই সভা থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসক দলকে। তাঁর মতে, দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা ক্রমাগত বঞ্চিত হয়েছেন। আর তাই এবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, বাংলায় বিজেপি সরকার আসলে সমস্ত আদিবাসীদের জমির পাট্টা এবং বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় এদিন মঞ্চ থেকে সোজাসুজি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি জঙ্গলমহলের দুর্দশার কথা উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তবে এদিন মুকুল রায় দাবি করেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল শিবিরের পতন হচ্ছেই। অন্যদিকে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপির নজর অনেক বেশি রাজ্যের অন্যান্য জায়গার থেকে। এ প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা যাচ্ছে, কৌশলগতভাবে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপি নিজেদের শক্তি ধরে রাখতে চাইছে। আর সে কারণেই লোকসভা নির্বাচনের মতো একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও একই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

একই কারণে এবার পুজোর আগে শিলিগুড়িতে সভা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে কেশিয়াড়ি সভায় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত আসতে পারেননি। বেলপাহাড়ি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জঙ্গলমহলে যেভাবে তৃণমূল একসময় বামেদের  প্রতি ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েছিল, ঠিক একইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও জঙ্গলমহলের ক্ষোভকে কাজে লাগাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এক মুখপাত্র এদিন বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলিত, আদিবাসীরা কেমন থাকেন তা উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে। লোকসভায় মানুষ একবার ভুল করেছে, দ্বিতীয়বার আর করবে না বলে দাবি তৃণমূলের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গলমহলের শক্তি আবার ফিরে পেতে গেলে দলীয় নেতৃত্বকে সেখানকার অধিবাসীদের কথা চিন্তা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নাহলে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের হাত থেকে জঙ্গলমহল ফিরিয়ে নিয়ে আসা খুব একটা সহজ হবেনা তৃণমূলের পক্ষে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!