এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের পথে হেঁটেই তৃণমূলকে মাত দিতে আসরে বিজেপি, জেনে নিন

তৃণমূলের পথে হেঁটেই তৃণমূলকে মাত দিতে আসরে বিজেপি, জেনে নিন

দেশের জনসাধারণের মধ্যে ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে নানান বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। শুধু বিরোধীদের নয়, সাধারণ মানুষেরও বড় অংশের অভিযোগ- দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোন রকম চেষ্টাই করেননি, বরং পরস্পরবিরোধী মন্তব্য ধরা পড়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের গলায়। বিরোধীদের অবশ্য ইঙ্গিত, ইচ্ছা করেই এই ধোঁয়াশা বিভ্রান্তি জোর করে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এন আর সি ও সি এ এ নিয়ে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজপথে নেমেছেন প্রতিবাদ করতে। এবার পাল্টা বিজেপির বিস্তারকরা মানুষের দরজায় দরজায় যাবেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বোঝাতে।

এই মুহুর্তের খবর, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা এনআরসি নিয়ে জনসাধারণকে সঠিক বার্তা দেওয়ার জন্যই বিজেপির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রথম থেকেই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাস্তায় একের পর এক মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন। শুধু তাই নয়, এবার তৃণমূল নেত্রী উত্তরবঙ্গেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মিছিল করার ডাক দিয়েছেন।

পাল্টা বিজেপিও এবার পথে নামার ডাক দিল। ইতিমধ্যে জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে কলকাতায় অভিনন্দন যাত্রা করেছে বিজেপি। শিলিগুড়িতেও তাঁদের মিছিল হয়েছে। কিন্তু এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করল বিজেপি। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, এই আইন বোঝানোর জন্য কমপক্ষে 30000 বিস্তারক এরাজ্যে পথে নামবেন। এই বিস্তারকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি মানুষকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে বোঝাবেন। জানুয়ারি মাস থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি। সূত্রের খবর, জে পি নাড্ডার সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও বিজেপি সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও এক কোটি চিঠি পাঠানোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেবারে এত পরিমান পোস্ট কার্ড পাওয়া যায়নি, তাই কর্মসূচী মাঝপথেই থেমে গিয়েছিল। এবার আবারও নতুন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। তবে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ করে আসছে দেশের বিরোধী দলগুলি।

অন্যদিকে, এন আর সি ও সি এ এ  কিংবা এনপিআর এর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়েছে প্রতিবাদ, আন্দোলনের সেই উত্তাপ। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে দেশের বিরোধী দলগুলোকে একজোট করার কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এনআরসি নিয়ে যেভাবে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে তাতে দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই একটু কোণঠাসা। আপাতত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে সেদিকে নজর রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!