এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলী হেভিওয়েটদের গ্রেপ্তারিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি চাপে? করছেন সহানুভূতির রাজনীতি?

তৃণমূলী হেভিওয়েটদের গ্রেপ্তারিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি চাপে? করছেন সহানুভূতির রাজনীতি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোমবার নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রধান পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সিবিআই এর হাতে। এই মুহূর্তে তিনি কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, এই নারদা মামলা নিয়ে দীর্ঘসময় তদন্ত তারপর চলার পর গ্রেপ্তারি বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র ফিরহাদ হাকিম নন, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এই গ্রেপ্তারি নিয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রথমদিন থেকেই দেখা গিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতে, যখন রাজ্যজুড়ে করোনা নিয়ে ব্যাপক লড়াই চলছে ঠিক সে সময় ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেপ্তার করে রাজ্যকেই বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কোভিড টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে ছিলেন। রীতিমতো রাস্তায় নেমে ফিরহাদ হাকিম কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং করোনাকালে নিজের বিশ্বস্ত সৈনিকদের অনুপস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে বড়সড় চাপের মুখে দাঁড় করিয়েছে সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমের গ্রেপ্তারির পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেখানেই তিনি রীতিমতো হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হোক। পরে অবশ্য তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা জামিন পেয়েও পেলেন না। হাইকোর্টে তাঁদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এবং তারা এখনো পর্যন্ত জেলেই রয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাটি পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নাম দিয়েছেন। একইসাথে মুখ্যমন্ত্রী বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিশেষ কিছুই বলতে চাননি সাংবাদিকদের সামনে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী যে চরম উদ্বিগ্ন সে কথা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কথাতেই। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ঘিরে কটাক্ষ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র সহানুভূতি আদায়ের জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আলোচনা করছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নারদা মামলার জল বহুদূর গড়াবে। ইতিমধ্যেই আজকে নারদা মামলার শুনানি বাতিল করা হয়েছে এবং আগামী কবে এই মামলার শুনানি হবে, তা জানানো হয়নি। সবমিলিয়ে নারদা মামলা নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!