এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে কোনঠাসা করতে এবার নতুন অস্ত্রের খোঁজ পেলো বিজেপি, জেনে নিন

তৃণমূলকে কোনঠাসা করতে এবার নতুন অস্ত্রের খোঁজ পেলো বিজেপি, জেনে নিন

এবারের দূর্গা পূজার আবহে সব থেকে বেশি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানকে ঘিরে। বারংবার নুসরত জাহানকে মুসলিম ফতোয়ার মুখে পড়তে হয়েছে। এবার দুর্গাপূজার অষ্টমীতে তার স্বামী নিখিল জৈনকে নিয়ে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মৌলবাদীরা তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। আমরা সবাই জানি, দুর্গাপূজা আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনস্থল। আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে নুসরত জাহানকে বারংবার মুসলিম আক্রমণ করা হচ্ছে। ফলে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন ঘুরছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নুসরত মুসলমান বলে তাকে বারংবার আক্রমণ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যখন মুসলিম হিজাব মাথায় দিয়ে, আল্লাহর নাম করেন, তখন তো তাঁকে কেউ কিছু বলেনা। এই ঘটনাকে সামনে রেখে এবার তৃণমূলকে কোণঠাসা করার যুক্তি তৈরি করেছে বিজেপি।

এবার নুসরত জাহানকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করার কাজে নামতে চলেছে। অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানকে ইতিমধ্যে ধর্মীয় মৌলবাদীরা ফতোয়া জারি করেছে। নুসরতের হয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীনেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি জারি করেননি।

নুসরত মুসলমান হলেও বিয়ে করেছেন জৈন ধর্মাবলম্বী নিখিল জৈনকে। বিয়ের পর থেকেই নুসরত প্রায়ই শাঁখা-সিঁদুর পরিহিত হয়ে জনগণের সামনে আসেন। এবার তাঁকে দুর্গা মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে দেখা গেল। এবং ঢাকের তালে নাচতেও দেখা গেল। মুসলিম মৌলবাদীদের ফতোয়ার তোয়াক্কা না করে এবার নুসরতকে আবারও দেখা গেল চালতাবাগান এর পুজো মণ্ডপে সিঁদুর খেলতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী নুসরতের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন, নুসরত কোনো উৎসবে যোগ দেবেন কিনা সেটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাঁর স্বাধীনতা রয়েছে যেকোন ধর্মাচরণ করার। এদিন দেবশ্রী চৌধুরী আবারও বললেন, তৃণমূল দলের সাংসদ নুসরতকে যখন বারংবার মুসলিম ফতোয়ার মুখে পড়তে হচ্ছে, তখন তৃণমূল নেতৃত্ব চুপ করে আছেন কেন? এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহাও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল মানবাধিকারের কথা বলে। ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলে। নুসরত জাহানের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। অথচ এই ক্ষেত্রে তারা মৌন? তোষামোদ রাজনীতি কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছে গিয়েছে এটাই তার প্রমান।’

এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা আরো বলেছেন, ‘অনেক সময় অনেকেই ধর্মান্তরিত হন। আবার এক্ষেত্রে নুসরত নিজের খুশিতে হিন্দু সংস্কারের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছে। কিন্তু, তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় কেন হস্তক্ষেপ করা হলো? একজন মহিলার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হলো, তৃণমূল কিছু বলল না। তার থেকে বোঝা যাচ্ছে কারা সাম্প্রদায়িক। কারা ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করছে। ধর্মের রাজনীতির মাঝে মহিলার সম্মান কিছুই নয়।’ রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর এবার নুসরাতের সম্মানহানির বিষয়টিকে সামনে নিয়ে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় রাজনৈতিক ইস্যু আনতে চলেছে

সমগ্র ঘটনার দিকে নজর রেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, যদি এইভাবে ধর্মীয় বিভেদ তৈরি হয়, তাহলেই তা মোটেই সুখকর নয়। কোনদিনই তাহলে সমাজে সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হবে না। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি। তবে নুসরাতের পাশে যেভাবে একের পর এক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দাঁড়িয়েছেন এবং মুসলিম ফতোয়ার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে জনমানসে এক অন্য ভাবধারার জন্ম দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!