তৃণমূলে কেউ অন্যায় করলে কি শাস্তি হবে, জানিয়ে দিলেন মমতা! তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য February 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যোগ দিতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূলের একদম শীর্ষ নেতারা এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে গিয়ে প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। যার ফলে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং অন্যদিকে দল ভাঙ্গনে কার্যত বিপর্যস্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে এবং দলত্যাগ করা নেতাদের পক্ষ থেকে যখন তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের পক্ষ অবলম্বন করে সেই বিরোধী রাজনৈতিক দলকে জবাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের কালনার জনসভা থেকে নাম না করে দলত্যাগী নেতাদের কড়া আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। আর তারপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হচ্ছে, তার বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় তাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলে কেউ অন্যায় করলে আমি অভিভাবক আছি। কেউ অন্যায় করলে বলবেন। গালে দুটো থাপ্পর মারব।” অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী একথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তার দলে যথেষ্ট গণতন্ত্র রয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ অন্যায় করলে তিনি যে কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না, তা বুঝিয়ে দিয়ে বিরোধী নেতাদের কটাক্ষের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, আমপান থেকে শুরু করে রাজ্যের নানা প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কাটমানি নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগে এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিরোধীদলের হেভিওয়েট নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে প্রধান হাতিয়ার করে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে শুরু করেছে। কিন্তু দুর্নীতি যদি বিরোধীদের প্রধান হাতিয়ার হয়, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে বিজেপিকে কুপোকাত করা যে যথেষ্ট কঠিন হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজের দলকে যেমন শোধরানোর বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষকে কার্যত এই মন্তব্যের মধ্যে বুঝিয়ে দিলেন, তার দলে যদি কেউ কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে কথা বলবেন না তিনি। অর্থাৎ একদিকে জনসাধারনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা এবং অন্যদিকে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিয়ে নিজের দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি যে আপোষ করবেন না, তা বারেবারে কালনার মাটি থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -