এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যেতে চাপের বদলে উল্টে খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে? চলছে রাজনৈতিক তরজা

তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যেতে চাপের বদলে উল্টে খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে? চলছে রাজনৈতিক তরজা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একদিকে দলে ভাঙন আটকানো এবং অন্যদিকে অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানানোর ওপর জোর দিচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে দলবদলের খেলা রীতিমত প্রতিযোগিতার আকার নিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে যখন একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের ভাঙ্গিয়ে নিজেদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে, তখন অনেকটাই চাপে রয়েছে ঘাসফুল শিবির।

কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাজার দলবদলে কার্যত স্বস্তি পোষণ করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। যার ফলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। তৃণমূলের ঘরে ভাঙ্গন ধরা সত্ত্বেও কেন তৃণমূল খুশি, এখন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, এই সৈকতবাবু বিজেপিতে যোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে‌। স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন বিজেপির যে সমস্ত কর্মীরা এই সৈকতবাবুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন, সেই সৈকতবাবু তাদের দলে আসায় অনেকেই তা ঠিকমত মেনে নিতে পারছেন না। যার ফলে বিজেপিতে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব এখন তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সৈকত পাজার দলবদলের ফলে তাদের দলের কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা এই সৈকতবাবুর বাবার মৃত্যুর কারণে সহানুভূতিতে তিনি এই আসনে টিকিট পেয়ে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না তিনি। ফলে তৃণমূল সম্পর্কে মানুষের কাছে একটা খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল। তাই তিনি এখন বিজেপিতে যাওয়াতে তৃণমূলেরই লাভ হবে বলে দাবি করছেন শাসক দলের কর্মীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে মন্তেশ্বর ব্লকের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, “এই বিধানসভার জন্য উনি অনেক উন্নয়নমূলক কাজের চিন্তাভাবনা করেছিলেন। কিন্তু তার অকাল প্রয়াণে উপনির্বাচনে সৈকত পাজা বিধায়ক হয়েছিলেন। রাজনীতিতে তার কোনো আগ্রহ ছিল না। তাই সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ রাখতেন না। এনিয়ে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হলে উনি সেটা বুঝতে পারবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপির অনেকেও সৈকতবাবুকে ঠিকমত মেনে নিতে পারছেন না বলে দাবি উঠতে শুরু করেছে। যদিও বা এই ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সৌগত দে বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য তৃণমূলে ভাঙন ধরানো। যত বেশি তৃনমূলের বিধায়ক এবং কর্মী আমাদের দলে যোগ দেবেন, ওদের কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গবে। সৈকত পাজাকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ উপর মহলের। নিশ্চয়ই কিছু ভালো বুঝে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

তবে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই সৈকতবাবু কি বলছেন! এদিন এই দিন এই প্রসঙ্গে সৈকত পাঁজা বলেন, “আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হচ্ছে, তার প্রমাণ দিতে পারবে না। আমি বাধ্য হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। বিজেপির উর্দ্ধতন নেতৃত্ব যে দায়িত্ব দেবেন, তা মাথা পেতে নেব। তবে এই সৈকত পাজাকে নিয়ে বিজেপির যে খুব একটা স্বস্তি নেই, তা স্থানীয় বিজেপির পার্টি অফিসগুলোতে কান পাতলেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

তাহলে কি তৃণমূলে থাকার সময় সত্যি সত্যিই মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতেন না সৈকত পাঁজা? আর তাই তৃণমূল যখন নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত, তখন সৈকতবাবু বিজেপিতে যোগ দিলেও গোটা ব্যাপারটি নিয়ে ভাবিত হতে দেখা যাচ্ছে না তৃণমূল নেতৃত্বকে! পাশাপাশি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই বিধায়কের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে সৈকতবাবুকে নিয়ে বিজেপি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, কিভাবে তাকে কাজে লাগায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!