এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > তৃণমূল-বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে শেষ হাসি হাসবে জোটই? কথা এগোতেই আশা বাড়ছে কর্মী-সমর্থকদের?

তৃণমূল-বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে শেষ হাসি হাসবে জোটই? কথা এগোতেই আশা বাড়ছে কর্মী-সমর্থকদের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রধান লড়াই হবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে, একথা কারো অজানা নয়। দিনকে দিন সেই লড়াই থেকে কার্যত পিছনের দিকে চলে যেতে হচ্ছে বাম এবং কংগ্রেসকে। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারে আলোচনা করতে হচ্ছে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তবে বেশ কিছু আসন নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। যা ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে এই দুই শিবিরের। তবে অচিরেই এই সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করছেন বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বদের একাংশ।

যার ফলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মালদহ জেলার কাস্তে হাতুড়ি শিবির এবং হাত শিবিরের নেতাকর্মীরা। অনেকে বলছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যদি মালদহে বাম এবং কংগ্রেস জোট করে, তাহলে তারা অনেকটাই ভালো ফল করতে সক্ষম হবে। কিন্তু যদি শেষ পর্যন্ত এই জোটের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আসন বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা দুই দলের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না। তাই সেই জোট যাতে হয়, তার জন্য দাবি জানাতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের 12 টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস আটটি এবং সিপিএম দুটি আসনে জয়লাভ করে। তারপর যতদিন যেতে শুরু করে, ততই এখানে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে এই দুই রাজনৈতিক দল। পরবর্তীতে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। যার ফলে বিজেপির উত্থান চরম আকার ধারণ করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে যাতে হাওয়া নিজেদের দিকেই রাখা যায়, তার জন্য এবার জোটের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন বাম এবং কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। অনেকে বলছেন, কিছুদিনের আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মালদহে এসেছিলেন। আর তখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেমন জমায়েত করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই বামেদের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সেই সভায় সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই দুই দল যদি নির্বাচনে এই প্রবণতা বজায় রাখে, তাহলে আর তাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না বলেই দাবি করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উপর মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়েছেন। এই পরিবেশ থেকে পরিত্রান পেতে বাম, কংগ্রেস জোটের উপর মানুষ নির্ভর করছে। ফলে এবার আমরা জেলায় ভালো ফল করব। 2016 সালের থেকেও বেশি আসন পাব।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা কংগ্রেসের নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির সদস্য মোস্তাক আলম বলেন, “নির্বাচনে জোট নিয়ে বামেদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। দ্রুত বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে আমরা আশাবাদী। মালদহ কংগ্রেসের ঘাঁটি। এখানে আমরা ভালো ফল করব।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সত্যিই যদি জোট হয়, তাহলে তারা কতটা তৃণমূল এবং বিজেপিকে চাপে রাখতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!