এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূল-বিজেপি লড়াইয়ের মাঝেই সিপিএমের সুজনকে ফোন মমতার, বাড়ছে জল্পনা!

তৃনমূল-বিজেপি লড়াইয়ের মাঝেই সিপিএমের সুজনকে ফোন মমতার, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। যে ঘটনায় পুলিশের লাঠির আঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন অজস্র বাম ছাত্র যুব কর্মী। আর এরই মাঝে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে আজ সেই দিনের ঘটনায় আহত ডিওয়াইএফআই নেতা মহিদুল ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন আর তারপর থেকেই রীতিমতো সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

আর এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়ে খোঁজখবর নিতে তিনি বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছেন বলে জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করে কেন আদ্যপ্রান্ত বিরোধী সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মা কিচেন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেখানেই ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। দুঃখ প্রকাশ করেছি। যে কোনো মৃত্যু দুঃখের। কোনো সাহায্য তা লাঘব করতে পারে না। তবু মৃতের পরিবার চাইলে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্যতার নিরিখে বিরোধী নেতাকে ফোন করে গোটা বিষয়ে বিতর্ককে চাপা দিতে চাইলেন। এক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে এই গোটা ঘটনায় গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ তুলেছে বামফ্রন্ট সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাই এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে বারবার বামেদের সাহায্য চাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করে রীতিমত সৌজন্যের বার্তা দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এর পেছনে সত্যিই রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। কেননা এবারের নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই প্রধান লড়াই হতে চলেছে। সেদিক থেকে সিপিএম এবং কংগ্রেস অনেকটাই পিছনের সারিতে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কারণেই যে গেরুয়া শিবির এত প্রভাব বিস্তার করেছে, তা বারেবারে উঠে এসেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়। যার পরবর্তী সময় কালে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাতে সিপিএম নিজেদের দিকে মনোযোগী হয়, তার জন্য নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেছে শাসকদলের নানা নেতাদের।

আর এই পরিস্থিতিতে বামেদের নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া এক যুবকের মৃত্যুর পরেই রীতিমত সৌজন্যতা দেখিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করে নিজের মহানুভবতা প্রতিষ্ঠা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সিপিএমের প্রতি নমনীয় মনোভাব পোষণ করে মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!