তৃণমূল যত বহিরাগত বলছে ততই অ্যাডভান্টেজ বাড়ছে বিজেপির? তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 21, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিককালে বাংলাকে পাখির চোখ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পাঁচ নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভিন রাজ্যের এই পাঁচ নেতা এখন থেকে বাংলায় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানা রণকৌশল তৈরি করবেন। কিন্তু অন্য রাজ্যের পাঁচ নেতাকে এই রাজ্যে নিয়ে আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। তাই ভিন রাজ্যের নেতাদের নিয়ে এসে বাংলা দখল করতে চাইছে। এটা বাঙালির ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যজনক। আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন এই দাবি করে বিজেপিকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া চলছে, তখন পাল্টা এই বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, এদিন এই বহিরাগত ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন তিনি বলেন, “বহিরাগত মানে কি? যারা ভারতের মধ্যে থেকে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি থেকে বাংলায় আসছেন, তারা বহিরাগত? কিভাবে বাংলার শাসক দল তাদেরকে বহিরাগত তকমা দিতে পারে? উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি থেকে বাংলায় আসতে গেলে কি এখন থেকে ভিসা বা পাসপোর্ট লাগবে!” সাথে সাথে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বাংলাকে কি তারা পশ্চিম-বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করছেন! এদিন সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন বাংলায় ভিন রাজ্যের নেতাদের আসা নিয়ে আপত্তি জানানো হচ্ছে, তখন পাল্টা তৃণমূলকে প্রশ্ন করে চাপে ফেলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বিজেপি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেন, “এই রাজ্যে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা বহিরাগত নন। অথচ উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির লোকেরা বহিরাগত!” এদিকে জয়প্রকাশবাবুর পাশাপাশি শাসকদলের এই বহিরাগত তত্ত্বকে নিয়ে তীব্র আক্রমণ করতে শোনা গেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূল রোহিঙ্গাদের ডেকে এনেছে, অনুপ্রবেশকারীদের ডাকছে। বাংলাদেশ থেকে অভিনেতাদের ডেকে নিয়ে আসছে ভোট প্রচার করার জন্য। তৃণমূলের আজ আর নিজেদের নেতার ওপর ভরসা নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করার। সেই মত করে বিজেপি তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত করে এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার জন্য অন্য রাজ্য থেকে নেতাদের নিয়ে এসে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, কেন বহিরাগত নেতাদের বাংলায় আনা হচ্ছে! তবে সেই ব্যাপারে এবার তৃণমূলের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পাল্টা ঘাসফুল শিবিরকে চাপে ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূল যখন বিজেপি নেতাদের বাংলায় আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখন তৃণমূলের দিকে পাল্টা অন্য একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। সেক্ষেত্রে তিনিও বাংলার বাইরের লোক। তাই তাকে কেন তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে কাজে লাগাচ্ছে, তা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। আর এই সমস্ত কিছু নিয়েই এখন টালমাটাল বঙ্গ রাজনীতি। যেভাবে বহিরাগত তত্ত্বকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা কার্যত চরম আকার নিয়েছে, তাতে আগামী দিনে এই ইস্যু যে বঙ্গ রাজনীতিতে বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -