এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূলকে টেক্কা? মানুষের মন জয়ে অভিনব পদক্ষেপ বঙ্গ বিজেপির!

তৃণমূলকে টেক্কা? মানুষের মন জয়ে অভিনব পদক্ষেপ বঙ্গ বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যথেষ্ট শক্তিশালী ভারতীয় জনতা পার্টি, তা সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার বা তার আগে বিভিন্ন সভার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে দলের নেতা-কর্মীদের বিজেপির অপপ্রচারকে বানচাল করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে নিজের টিমকে দিয়ে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন।

যার সুফল 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তারা। কিন্তু বিরোধী দলের জায়গা দখল করার পরেও হাল ছেড়ে দিতে চাইছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বিস্তার ঘটাতে নয়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরকে। যেখানে কুটুম্ব অ্যাপের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার উদ্যোগ নিল বিজেপি।

কিন্তু এই কুটুম্ব অ্যাপ ঠিক কি? জানা গেছে, ফেসবুক টুইটারের মতই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম মাধ্যম এই অ্যাপ। মূলত প্রথমে এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। তারপর ফোন নম্বর দিয়ে সেখানে সাইন ইন করতে হয়। ইতিমধ্যেই এই অ্যাপের মধ্যে দিয়ে নিজেদের প্রচার করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে এই অ্যাপে প্রবেশ করে বিজেপির কমিউনিটিতে পৌঁছতে হলে ফোন নম্বর দিতে হবে। আর ফোন নম্বর দেওয়ার পরেই চলে আসবে সেই পেজ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে লেখা রয়েছে, বিজেপি বেঙ্গল সোশ্যাল মিডিয়া। আর তারপরেই “সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ” এমন বাক্য লেখা রয়েছে। অর্থাৎ ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে প্রচার করতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেই প্রচারে টিকে থাকতে চাইছে তারা। আর সেই কারণেই ফেসবুক, টুইটার বা অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি কুটুম্ব অ্যাপ তৈরি করে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, 2021 বিজেপির কাছে টার্গেট ছিল, বাংলার ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি তারা। 77 টি আসন দখল করে বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। আর তারপর থেকেই তাদের দলে ভাঙ্গনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতা দলবদল করেছেন। আর তারপর গেরুয়া শিবিরের আরও অনেক বিধায়ক এবং হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী ঘাসফুলে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

তবে মানুষের মনে যাতে বিজেপির হাওয়া বজায় থাকে এবং আধিপত্য বাড়ানো যায়, তার জন্য নয়া অ্যাপের মধ্যে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের সুকৌশলী চেষ্টা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই রকম প্রচার পর্বের মধ্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কতটা আধিপত্য বজায় রাখতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!