এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে সরব যুব তৃণমূল, মমতার দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি! প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! 

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে সরব যুব তৃণমূল, মমতার দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি! প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! 


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল কমছে না কিছুতেই। এবার মালদহের একটি পঞ্চায়েতে নিম্নমানের কাজ করা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের একাংশকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহের তৃণমূল পরিচালিত ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতে। যেখানে পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে, সেখানে নিম্নমানের কাজ এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূলেরই একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, এই ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু টেন্ডার হলেও সেখানকার রাস্তা ঠিকমত করা হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আলো বরাদ্দ করার ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। যার জেরে তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে ভালুকা অঞ্চল যুব তৃনমূলের সভাপতি প্রদীপ মহালদার বলেন, “ভালুকা পঞ্চায়েতে মারাত্মক দুর্নীতি হচ্ছে। রাস্তা তৈরি, হাইমাস লাইট এবং এনআরজিএসের কাজ 2 কোটি 84 লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। প্রধান, পঞ্চায়েত কর্মী সকলে এই দুর্নীতিতে জড়িত। জেলাশাসককে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আমরা অভিযোগ পাঠাব।”

আর যেভাবে যুব তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে সরব হলেন এবং তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন, তাতে শাসকদলের বিরুদ্ধে যে বিরোধীরা বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও বা এই গোটা ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি এই ব্যাপারে সরাসরি পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও, তাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করছেন ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মজিবুর রহমান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েতের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন, তারা ভোটের সময় বিজেপি করে। আর ভোট শেষ হলেই তৃণমূল হয়ে যায়। পঞ্চায়েত এবং দলের বদনাম করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই সমস্ত কিছু বিজেপির ষড়যন্ত্র।” তবে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এই কথা বললেও তা মানতে নারাজ একাংশ। কেননা যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি তৃণমূলের যুব সংগঠনের অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি কি করে বিজেপি হবেন, এখন এটা অনেকের মনেই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস যাদের দায়িত্ব দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে ঝাড়াই-বাছাই করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না? উপপ্রধানের মন্তব্যের পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। একাংশ আবার বলছেন, চাপে পড়েই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে উপপ্রধান এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং অন্যদিকে পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে সরব হওয়ার ঘটনায় বিরোধীরা যে এই বিষয়টি সামনে রেখে ভবিষ্যতে ময়দানে নামবে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!