এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল থেকে আগত নেতাদের জন্য হারাতে হল পদ? রাগে ফুঁসতে থাকা রাহুল সিনহার ‘বড় সিদ্ধান্ত’?

তৃণমূল থেকে আগত নেতাদের জন্য হারাতে হল পদ? রাগে ফুঁসতে থাকা রাহুল সিনহার ‘বড় সিদ্ধান্ত’?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমন দিনও যে দেখতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে, তা সত্যিই কস্মিনকালেও কল্পনা করেননি কেউ। বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আগে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠন সামলেছেন রাহুল সিনহা। বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে এই ব্যক্তির নাম পড়তে-পড়তে জড়িয়ে আছে। বর্তমানে বহু রাজনৈতিক দল থেকে অনেক নেতা-কর্মী দলবদল করে বিজেপিতে এলেও, প্রথম থেকেই বিজেপিতেই রয়েছেন রাহুলবাবু।

পরবর্তীতে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের ডানা ছাটা গেল সেই রাহুল সিনহার। যেখানে এতদিন তিনি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সম্পাদকের দায়িত্বে থাকলেও, তার জায়গায় আনা হল তৃণমূল থেকে আগত অনুপম হাজরাকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এককালের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের গুরুত্ব সর্বভারতীয় স্তরে রদবদলের মধ্যে দিয়ে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

যেখানে মুকুলবাবুকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা যায় রাহুল সিনহাকে। যেখানে 40 বছর ধরে বিজেপি করার পুরস্কার পেলেন তিনি বলে মন্তব্য করেন বিজেপির দীর্ঘদিনের এই সৈনিক। আর রাহুল সিনহার মত বিজেপি নেতার মুখ থেকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের মন্তব্য শুনতে পাওয়ায় এখন তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

ঠিক কি বলেছেন রাহুল সিনহা? জানা গেছে, এদিন সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠনের রদবদলের নতুন তালিকা সামনে আসতেই সেখানে তৃণমূল নেতাদের আধিক্য দেখে সরব হন রাহুলবাবু। তিনি বলেন, “40 বছর ধরে বিজেপির একজন সৈনিক হিসেবে দলের সেবা করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করার পুরস্কার এটাই যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমায় সরতে হবে। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না। এর বাইরে আর কিছু বলব না। যা বলার দশ বারো দিনের মধ্যে বলব। আমার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, রাহুল সিনহার এই মন্তব্য আদতে অনুপম হাজরাকে কেন্দ্র করে। কেননা এই অনুপম হাজরাকে বিজেপি সর্বভারতীয় স্তরে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং অনুপম হাজরাকে সেই পদে বসিয়ে দেওয়ার জন্যই কি এবার তৃণমূলের নেতা আসার কারণে তাকে পদ থেকে সরতে হল বলে মন্তব্য করলেন রাহুল সিনহা! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুধু তাই নয়, দশ থেকে বারো দিনের মধ্যে তিনি ঠিক কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তা নিয়েও ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাহুল সিনহা এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে যদি তার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা হিসেবে দলবদলের কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ব্যাপকভাবে চাপে পড়তে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু যদি তিনি দলবদল করেন, তাহলে তিনি কোন দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, এতদিন যাদের বিরুদ্ধে রাহুল সিনহা মূল লড়াই করে এসেছেন, যদি সেই দলে তিনি যোগ দেন, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে। অনেকেই তার মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।

ফলে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা, তা অনেকের কাছেই সংশয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যেভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার জায়গা না পাওয়া নিয়ে এবং তৃণমূল নেতাদের আধিক্য নিয়ে সরব হতে দেখা গেল রাহুলবাবুকে, তাতে তিনি যে দলের নেতৃত্বের ওপর এখন অনেকটাই ক্ষুব্ধ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে এখন রাহুল সিনহা আগামী 10 থেকে 12 দিনের মধ্যে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!