এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে ফেরার আবেদন 18 জনপ্রতিনিধির, বিধায়ক ধরে রাখা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি

তৃণমূলে ফেরার আবেদন 18 জনপ্রতিনিধির, বিধায়ক ধরে রাখা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যত সময় যাচ্ছে, ততই ফাটল তীব্র হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরমহলে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা যোগ দিতে শুরু করেছিলেন গেরুয়া শিবিরে। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার সাথে সাথেই চিত্রটা পাল্টাতে শুরু করে। বিজেপিতে যাওয়া একের পর এক নেতা নেত্রীরা আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাদের আবেদন পত্র পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

আর এই পরিস্থিতিতে শুধু উপরতলায় নয়, নীচুতলাতেও তৃণমূলের ভাঙ্গন প্রকট হতে শুরু করল। বলা বাহুল্য, নির্বাচনের আগে রতুয়া 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির 18 জন তৃণমূলের সদস্য গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে এবার আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আবেদন করলেন তারা।

স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে ফেরার আগ্রহ দেখানোয় এখন রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এভাবে যদি দলে ভাঙন ধরতে শুরু করে, তাহলে আগামী দিনে 77 টি আসন দখল করা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা রেখে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত লড়াই করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

সূত্রের খবর, মালদহের রতুয়া 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির 18 জন সদস্য তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। মূলত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা সকলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তবে ফলাফল প্রকাশের পর অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তারপরেই একের পর এক নেতা, নেত্রীরা তৃণমূলে ফিরে আসার আগ্রহ দেখান। আর এবার রতুয়া 1 পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আবার তাদের পুরনো দল ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে চেয়ে আবেদন করলেন। কিন্তু এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল নেতৃত্ব! কেননা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলবদলকারীদের কোনভাবেই দলে গ্রহণ করা হবে না। সেদিক থেকে মালদহের এই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা দলে ফিরতে চাইলে, তাদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “দলে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, নীচুতলা থেকে শুরু করে ওপরতলা, সব জায়গাতেই বিজেপির মধ্যে এখন ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে। সোনালী গুহ থেকে শুরু করে সরলা মূর্মু, ভোটের আগে যারা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী হিসেবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা এখন বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছেন। সকলেই আবার তাদের পুরনো দলে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে যারা বিজেপির নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে।

যদি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মত বিজেপির বিধায়করাও এক এক করে দলবদল করতে শুরু করেন, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে বিরোধী শক্তি হিসেবে লড়াই দেওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মালদহের রতুয়া 1 পঞ্চায়েত সমিতিতে যেভাবে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে বিজেপি সদস্যরা আবেদন করলেন, তাতে কি অনেকটাই চাপে পড়ে গেল না গেরুয়া শিবির?

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডল বলেন, “জোর করে কাউকে দলে আনা হয়নি। কেউ যেতে চাইলেও আটকে রাখা হবে না।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!