এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে ফিরতেই পার্থর বাড়িতে শোভন-বৈশাখী? বিস্ফোরক দাবি রত্নার!

তৃণমূলে ফিরতেই পার্থর বাড়িতে শোভন-বৈশাখী? বিস্ফোরক দাবি রত্নার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায় দড়ি টানাটানি দেখেছে গোটা বাংলা। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ অবলম্বন করতে দেখা গেছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকি নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর রত্না চট্টোপাধ্যায় স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য সিবিআই দপ্তর আসলেও, নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে শোভনবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার কাছে সব সময় আপন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তৈরি হতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর সেভাবে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখতে দেখা যায়নি এই জুটিকে। পরবর্তীতে বিজেপির ভরাডুবির পর গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে দেখা যায় তাকে।

আর এই পরিস্থিতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সেটাই বড় প্রশ্ন বাংলায়। ইতিমধ্যেই বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগের পর তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে তারা তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে যে কারণে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ অর্থাৎ বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় কি শোভনবাবু এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনে নিতে পারবেন, এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর তার মাঝেই এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগের পর সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে যান শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। পাশাপাশি সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায় বৈশাখীদেবীর মন্তব্যে। যেখানে তিনি বলেন, আমি চাই শোভন চট্টোপাধ্যায় সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসুন। শোভনবাবুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। অসময়ে মুখ্যমন্ত্রী ওনার পাশে ছিলেন। উনি ওনার বাকি তিন সহকর্মীর জন্য যতটা চিন্তিত হয়েছিলেন, শোভনের জন্যও ততটা চিন্তিত ছিলেন। আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ ওনার কাছে। যে ধরনের কঠিন সময়ে তিনি পাশে থেকৈছেন, সেটা কখনই ভোলার নয়। আমি মনে করি, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসা উচিত।

আর এরপরই শোভন চট্টোপাধ্যায়তে বিজেপিতে থেকে সক্রিয় রাজনীতি করবেন না, অর্থাৎ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যে শোভনবাবুকে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে চান, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তার মাতৃবিয়োগের পর দেখা করতে গিয়ে তৃণমূল মহাসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের, তা নিয়েও তৈরি হয় প্রশ্ন।

আর এই পরিস্থিতিতে শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীর তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। যেখানে শীর্ষ নেতৃত্বকে তেল দিতে শুরু করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই মন্তব্যে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যারা এখন ঘরে ফিরবেন বলে বার্তা পাঠাচ্ছেন, তারা ভোটের আগে বিজেপির মঞ্চ থেকে আমাদের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে কি কি বলেছেন, তারা সকলেই জানে। দিদিকে সৎমা বলা হয়েছে। অভিষেককে কয়লা চোর, গরু চোর, বালু চোর বলে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সোনার বাংলা বানাতে গিয়ে সোনার গোপাল বানিয়ে ফেলেছেন। ডায়মন্ডহারবার অভিষেককে জিতিয়ে নাকি কেউ কেউ পাপ করেছেন। তৃণমূলকে হারিয়ে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবেন। কিন্তু এখন দলে ফিরতে শীর্ষ নেতৃত্বকে তারা তেল দিচ্ছেন। তেল দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে উপরিউক্ত বাক্যগুলো প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পর এই জুটির তৃণমূলের ফেরার জল্পনা তৈরি হতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, যারা ভোটের আগে দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের ব্যাপারে দল কোনোমতেই নমনীয় মনোভাব পোষণ করবে না।

এক্ষেত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহধন্য বলেই পরিচিত ছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সেই জল্পনা যাতে আরও দীর্ঘায়িত না হয় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে না পারেন, তার জন্য রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কি কি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই কথা তুলে ধরে তাদেরকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন রত্নাদেবী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও বা দল কাদেরকে গ্রহণ করবে তা একমাত্র শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। স্বভাবতই তৃণমূলের সঙ্গে ধীরে ধীরে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হলেও রত্না চট্টোপাধ্যায় যে তাদের ফেরার পথে বড় কাটা হতে চলেছে, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!