প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর কয়েকটা মাস। তারপরই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই দুই রাজনৈতিক দল নিজেদের মত করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। নির্বাচনী প্রচার যে একপ্রকার শুরু হয়ে গেছে, তা বলাই যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মে মাসের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে রাজ্যের ক্ষমতা কারা দখল করতে চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের বিদায় আসন্ন বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি সেই ব্যাপারে রীতিমত দিনক্ষণ জানিয়ে দিতে দেখা গেল তাকে।

সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় সহ সকল স্তরের নেতারা। আর সেই সভাতে উপস্থিত থেকেই তৃণমূলের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেকে জানতে চাইছিলেন করোনা কবে যাবে। এই করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ভাইরাস তৃণমূল। তারা কবে যাবে বলে দিচ্ছি। তৃণমূলের ভ্যাকসিন আমরা তৈরি করে ফেলেছি। মে মাসের কুড়ি তারিখের পরই তারা চলে যাবে। টিএমসির যাওয়ার দিন এসে গিয়েছে। 200 আসন নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় বসবে। আমরা সোনার বাংলা গঠন করব।”

স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই যেভাবে নন্দীগ্রামের মাটি থেকে সরকার গড়ার ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয় মনোভাব পোষণ করলেন দিলীপ ঘোষ, তাতে বিজেপি নেতা কর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। একাংশ বলছেন, যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে শাসকদল যদি এখন নিজেদের ঘর না সামলায়, তাহলে দিনকে দিন তাদের চাপ বাড়তে শুরু করবে। এমনিতেই এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হওয়া কাজ করছে। আর তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর একের পর এক নেতারা বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন, তাই সেই সমস্ত নেতারা এখন যদি বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেন, তাহলে শাসকদল ক্রমশ চাপে পড়তে শুরু করবে।

তাই এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের মাটি থেকে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে তৃণমূলের বিদায়ের দিন জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে অনেকে বলছেন, কি হবে, তা ভোটবাক্স খোলার পরই বোঝা যাবে। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যেভাবে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে নিশ্চিত মনোভাব প্রকাশ করলেন, তাতে তার এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব কতটা মেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।