এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূলের দেখানো পথেই বিজেপি, প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিদ্রোহ, অস্বস্তি তুঙ্গে!

তৃণমূলের দেখানো পথেই বিজেপি, প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিদ্রোহ, অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রার্থী হতে না পেরে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। ঘাসফুল শিবিরের কাছে যা যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও, বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দলের প্রথম দুই দফা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই যেভাবে বিদ্রোহ সামনে এল, তাতে নানা মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।

জানা গেছে, এবার প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে শালবনি বিধানসভায় বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা দলত্যাগ করলেন। শুধু তাই নয়, সমন্বয় মঞ্চ গঠন করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চারটি আসনে তারা প্রার্থী দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই যে বিজেপি ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করবে বলে মনস্থির করেছে, সেই তারা প্রার্থী ঘোষণার পর যেভাবে বিদ্রোহ শুরু হল, তাতে রীতিমত আশঙ্কা এবং উষ্মা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

বলা বাহুল্য, শনিবার 57 টি আসনে নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপরেই রীতিমত ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। গেরুয়া শিবিরে একাংশের দাবি, মেদিনীপুর সদরে জেলা সভাপতি নিজেই প্রার্থী। আর বাকি তিনটি আসনে যারা টিকিট পেয়েছেন, তারা জেলা সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক ভাবেই কাছের লোকদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন জেলা সভাপতি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, শালবনি ব্লকের জয়পুরে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা একটি বৈঠকে বসেন। আর সেই বৈঠক শেষে রীতিমত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন গেরুয়া শিবিরের 500 জন কর্মী-সমর্থক। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙ্গন ধরেছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও, প্রার্থী ঘোষণার পরেই যেভাবে বিজেপির নেতা কর্মীদের বিক্ষোভ শুরু করলেন, তাতে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির, তা বলাই যায়।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা পশুপতি দেবসিংহ বলেন, “এলাকার সাধারণ মানুষ এই প্রার্থীদের সঙ্গে নেই।” পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমন্বয় মঞ্চ গঠন করে তারা যে পৃথকভাবে প্রার্থী দেবেন, সেকথাও জানিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঠিক হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হয়েছে।

কিন্তু সেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই যেভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামনে আসতে শুরু করল, তাতে গেরুয়া শিবিরের ভাঙ্গন এখন যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে গিয়ে বিজেপি নিজেদের দলের শুরু হওয়া এই ভাগুন কতটা আটকাতে পারে, কিভাবে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ক্ষোভকে সামাল দিতে সক্ষম হয় বিজেপি নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!