এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোকে চাপে ত্রিপুরা সরকার! সক্রিয় হচ্ছেন অভিষেক!

তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোকে চাপে ত্রিপুরা সরকার! সক্রিয় হচ্ছেন অভিষেক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এবার লক্ষ্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া। আর সেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে শুধুমাত্র সংগঠন গড়া যে তাদের লক্ষ্য নয়, একেবারে ক্ষমতা দখল করে সেই রাজ্যে জয়লাভ করা যে একমাত্র লক্ষ্য, তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমানে তৃণমূলের অঘোষিত সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার এই কথা যে মুখের কথা নয়, তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বর্তমানে তৃণমূলের অন্যতম পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরা। 2023 এ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন থেকেই সেখানকার জমি তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির।

বিশিষ্ট নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে একাধিক সদস্য সেই ত্রিপুরাতে গিয়ে তৃণমূলের সংগঠনকে কিভাবে চাঙ্গা করা যায়, তার পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে হোটেলে আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। আর তার প্রতিবাদেই এবার বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীরা সেই ত্রিপুরায় গিয়ে নিজেদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন। তবে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিতে এবার সেই বিজেপি গড়ে যেতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা যাবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আর তারপরেই শুক্রবার দুপুরে দিল্লি থেকে বিমানে করে ত্রিপুরা পৌঁছাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে, এই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে সংগঠনকে বিস্তার করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক সদস্যরা ত্রিপুরা যাওয়ার সাথে সাথেই বিজেপি প্রশাসন তাদেরকে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদ করতে এবং স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মনে জোর দিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ত্রিপুরা সফর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, 2023 সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গঠন করাই এখন প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের। আর সেই কারণেই কিভাবে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে এবং কিভাবে পথ চললে সাধারণ মানুষের মন পাওয়া যাবে, তার ব্যাপারে প্রশান্ত কিশোরের টিম সেখানে তৃণমূলের স্বপক্ষে ব্লু প্রিন্ট তৈরিতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা ত্রিপুরায় পৌছতেই সেখানে তাদেরকে হোটেলে আটক করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। স্বভাবতই তৃণমূল ত্রিপুরায় আধিপত্য বিস্তারের যখন চেষ্টা করছে, তখন বিজেপি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগ নিতেই তৃণমূল বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে।

যেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ত্রিপুরাতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে নিজেদের শক্তি আরও বৃদ্ধি করার দিকে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করছেন। আর তার কারণেই বিজেপির এই শক্ত ঘাঁটিতে গিয়ে এখন থেকেই আন্দোলন শুরু করে 2023 এ ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলের রাস্তা পাকাপোক্ত করতে চাইছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের এই প্রতিবাদে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার কতটা চাপে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!