এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের মায়া কাটিয়ে গেরুয়া শিবিরে যেতেই এবার হেভিওয়েট বিধায়ককে অস্বস্তিতে ফেলতে নয়া পদক্ষেপ

তৃণমূলের মায়া কাটিয়ে গেরুয়া শিবিরে যেতেই এবার হেভিওয়েট বিধায়ককে অস্বস্তিতে ফেলতে নয়া পদক্ষেপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছরের 19 ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন তিনি। তবে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে নিয়ে যেমন কটাক্ষ করা হয়েছে, ঠিক তেমনই তাকে কেন বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অনেকেই তুলতে শুরু করেছিলেন প্রশ্ন। তবে কিছুদিন আগেই দলের জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দলে সক্রিয় হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস। তবে এবার দিপালী বিশ্বাসকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই দিপালী বিশ্বাসের জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেখানে দিপালীদেবী সহ আরও বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দাখিল করা শংসাপত্রের বৈধতা নিয়ে তোলা হয়েছে অভিযোগ। পাশাপাশি এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছেও একটি অভিযোগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 26 ডিসেম্বর বঙ্গীয় সিডিউল কাস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়। যেখানে এক সাংসদ এবং 14 জনের জাতিগত প্রমাণপত্র নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়।

স্বাভাবিকভাবেই এত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এইরকম গুরুতর অভিযোগ ওঠায় এখন সেই বিষয়টিকে নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আর তার মধ্যেই নাম রয়েছে গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের। স্বাভাবিকভাবেই এবার নির্বাচনের আগে দিপালীদেবী যে অত্যন্ত চাপে পড়ে গেলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তাকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার তার বিরুদ্ধে এই রকম গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিজেপি যে অত্যন্ত অস্বস্তিতে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষী মিত্র বলেন, “গাজোলের বিধায়কের জাতিগত শংসাপত্রের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত করে কমিশনের রিপোর্ট জমা দেব।” এদিকে এই ব্যাপারে দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “আমি নিজেও তপশিলি জাতিভুক্ত। এর আগেও সংরক্ষিত বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দিতা করেছি। এই বিষয়টিকে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। দিপালীদেবীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। কমিশন তথা প্রশাসনের তদন্তে কি উঠে আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছি।”

তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি দিপালীদেবীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল। তবে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই দিপালী বিশ্বাস কি বলছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ভুক্ত। সেই সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই আমার কাছে তপশিলি জাতি শংসাপত্র রয়েছে। জেলা প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনের তরফ সেই ব্যাপারে আমাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কেউ ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ তুলতেই পারে। আমি যে কোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তদন্ত হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠতে শুরু করেছে এবং গোটা বিষয়টি এখন নির্বাচন কমিশনের আয়ত্তে যেতেই যে অনেকটা চাপে পড়ে গেছে দিপালী বিশ্বাস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!