এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন দুষ্কৃতীরা? খোদ প্রভাবশালী ঘাসফুল নেতার অভিযোগে উঠল ঝড়!

তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন দুষ্কৃতীরা? খোদ প্রভাবশালী ঘাসফুল নেতার অভিযোগে উঠল ঝড়!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – “তৃণমূল এখন পিসি-ভাইপোর কোম্পানি হয়ে গেছে” শাসক দলকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের এইরকম অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এমনকি তৃণমূলের সমস্ত কিছু গুন্ডারাজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলেও মাঝেমধ্যে অভিযোগ করতে দেখা যায় বিরোধী দল বিজেপিকে। আর এই পরিস্থিতিতে এতদিন বিরোধীরা এই অভিযোগ করলেও, এবার তৃণমূল নেতার গলায় সেই একই অভিযোগ শুনতে পাওয়ায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গেল ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে কিছু দুষ্কৃতী দলের দখল নিতে চাইছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই মালদহ জেলার একজন হেভিওয়েট নেতার গলায় দল সম্পর্কে এই রকম প্রতিক্রিয়া সামনে আসায় শাসকদল যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতদিন বিরোধীদের গলায় তৃণমূল সম্পর্কে এরকম অভিযোগ শোনা যেত। কিন্তু এবার জেলা তৃণমূলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এই রকম অভিযোগ করায় ঘাসফুল শিবির অত্যন্ত চাপে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সম্প্রতি রতুয়খর একটি সভায় প্রকাশ্যে যেভাবে আমাকে আক্রমন করা হয়েছে, তাতে আমি স্তম্ভিত। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আমার নিজস্ব শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় রয়েছে। তৃণমূলের কঠিন সময় আমাদের মত অনেকেই দলের হয়ে সংগ্রামে সামিল হয়েছি। এখন যে ধরনের রুচিহীন মন্তব্য করা হচ্ছে, তা সহ্য করা কার্যত অসম্ভব। দলের নেতৃত্বের নজরে গোটা বিষয়টি আনা হয়েছে। মালদহের কিছু দুষ্কৃতী তৃণমূলকে দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দলকে এভাবে দখল করা যায় না। প্রতি আক্রমণ করতে আমার রুচিতে বাধে। তাই আমি সরাসরি কারও নাম করে কোন কথা বলতে চাই না।” স্বাভাবিক ভাবেই একজন শীর্ষস্তরের নেতা যেভাবে দুষ্কৃতীরা দল দখল করছে বলে নিজের দল সম্পর্কে মন্তব্য করেন, তাতে বিরোধীরা তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, গত 10 জানুয়ারি রতুয়া থানা সংলগ্ন মাঠে একটি জনসভার ডাক দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইয়াসিন। আর সেই সভা থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাকে। এদিকে এই ঘটনার পরই মানব বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মুখ খুলে দলকে দুষ্কৃতীরা দখল করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করলেন, তাতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদহ জেলার রাজনৈতিক মহলে।

তবে মানব বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বললেও, তাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইয়াসিন। এদিন তিনি বলেন, “যাদের জনভিত্তি নেই, এমন নেতাদের কথার গুরুত্ব দিতে চাই না। রতুয়ার জনসভা প্রমাণ করে দিয়েছে, তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।” কিন্তু মানব বন্দোপাধ্যায়ের মত জেলাস্তরের শীর্ষনেতার এই মন্তব্যে কি দল বিড়ম্বনায় পড়ল না?

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “দলের উর্দ্ধে কেউ নন। দলের নেতা-নেত্রীদের প্রকাশ্যে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে ইতিমধ্যেই সর্বস্তরে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এর অন্যথা হলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে যেতে শুরু করেছে এবং মানব বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে যে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!