এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের প্রশ্নের পরেই নারদ কান্ডে অস্বস্তি বাড়ল মুকুল-শুভেন্দুর, সিবিআইয়ের চার্জশিট ঘিরে জল্পনা!

তৃণমূলের প্রশ্নের পরেই নারদ কান্ডে অস্বস্তি বাড়ল মুকুল-শুভেন্দুর, সিবিআইয়ের চার্জশিট ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্র, সারদা থেকে রোজভ্যালি, বিভিন্ন ঘটনায় যখন একের পর এক তৃণমূল নেতারা গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, বিজেপির দুর্নীতিপরায়ন নেতারা সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন না। কেননা কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিরোধীদের জন্য কাজে লাগায়।

সদ্য সমাপ্ত হয়েছে 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি বহু চেষ্টা করেও সেই নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে 77 টি আসন দখল করে বিরোধীদলের জায়গা পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিরোধী দলনেতা হয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে তৃণমূলের মন্ত্রী এবং বিধায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই শাসক দলের পক্ষ থেকে সবথেকে বেশি যে প্রশ্নটা তোলা হয়, তা হল মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আইন সকলের জন্য সমান। তাহলে কেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সেই নারদ ভিডিও ফুটেজে দেখা গেলেও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না! এক্ষেত্রে সিবিআই যে পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করছে, তা তৃণমূল নেতাদের কথা থেকেই উঠে আসে।

এদিকে লাগাতারভাবে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার চার্জশিটে যে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিমের জামিনের জন্য আদালতে সিবিআইয়ের এই পক্ষপাতমূলক আচরণের কথা তুলে ধরেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের এত প্রশ্ন, অবশেষে তার রহস্যভেদ হতে শুরু করেছে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, নারদ কান্ডে আর যে সমস্ত ব্যক্তিদের ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই চার্জশিটে নাম রয়েছে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, অপরুপা পোদ্দার, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইকবাল আহমেদের। তবে সাংসদদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সিবিআই কোনোরুপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। কেননা যে সময়ে এই ভিডিও প্রকাশ হয়েছিল, তখন সাংসদ ছিলেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।

বর্তমান সময় পর্যন্ত লোকসভার অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো অনুমোদন আসেনি। তাই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়নি বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, সিবিআই যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে, তা তাদের এই চার্জশিটের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার বলে মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অনেকে আবার বলছেন, রাজ্য বিধানসভার সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্র। সেক্ষেত্রে তাদেরকে কেন একেবারে গ্রেপ্তার করে নেওয়া হল? কেন এক্ষেত্রে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমোদন চাওয়া হল না? বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, অধ্যক্ষের অনুমোদনের আগেই তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া করবার জন্য অনুমোদন দিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। তাই সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষের অনুমোদন না নিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনের ভিত্তিতে সিবিআই তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

কিন্তু এক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরে এক সময় যারা সাংসদ ছিলেন এবং যাদের নিয়ে এত প্রশ্ন, লোকসভার অধ্যক্ষ অনুমোদন না দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন হলেও, সিবিআই যে তাদের গঠনমূলক কাজ করে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। এক্ষেত্রে ঘাসফুল শিবির সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতার যতই অভিযোগ তুলুক না কেন, নিয়মের বেড়াজালে যে সমস্ত কিছু আটকে রয়েছে, তা বলাই যায়।

তবে একাংশ বলছেন, যদি চার্জশিটে এই নাম থাকা ব্যক্তিদের এবার একের পর এক জেরা করতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের শাসক থেকে বিরোধী, দুই রাজনৈতিক দলেরই বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অধ্যক্ষের অনুমোদন কবে আসে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদদের ক্ষেত্রে নারদ কান্ডে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!