এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরেই নয়া সমস্যায় দীনেশ, প্রশ্নবানে বিদ্ধ করল তৃণমূল!

তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরেই নয়া সমস্যায় দীনেশ, প্রশ্নবানে বিদ্ধ করল তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হঠাৎ করেই গত শুক্রবার রাজ্যসভায় বাজেট বিতর্ক চলার সময় সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস দল ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দেন তিনি। আর নজিরবিহীনভাবে তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয় গোটা দেশজুড়ে। বক্তব্য রাখতে উঠে এভাবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এমত পরিস্থিতিতে যখন দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এই ঘটনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শুখেন্দুশেখর রায় এই ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের আবেদন করেছেন। যেখানে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে এই ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।

যার মধ্যে লেখা রয়েছে, “বাজেট বিতর্কে আলোচনার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুজনের নাম নির্ধারিত ছিল। তাদের বক্তৃতা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কিভাবে দীনেশ ত্রিবেদীকে বলার সুযোগ দেওয়া হল!” অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুজনের নাম কি করে দেওয়া হলেও কেন দীনেশবাবুকে বলতে দেওয়া হল, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন করে পাল্টা সেই দীনেশ ত্রিবেদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে কৌশলে চাপে রাখার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট সাংসদ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চার চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিনিয়ত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা জার্সি বদলাতে শুরু করেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে দীনেশ ত্রিবেদীর মত হেভিওয়েট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যার মুখ থেকে দলের বিরুদ্ধে তেমন কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি, সেই তিনি হঠাৎ করেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবেন, তা কেউ আগেভাগে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু রাজ্যসভায় কার্যত বক্তব্য রাখতে উঠে নজিরবিহীনভাবে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন সেই দীনেশবাবু।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে এই ঘটনা নিয়ে যাতে বিরোধীরা বেশি মাতামাতি করতে না পারে, তার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

অর্থাৎ একদিকে দীনেশ ত্রিবেদীকে চাপে যাতে রাখা যায় এবং তার দলবদল নিয়ে যে গুঞ্জন এবং আলোচনা চলছে, তা যাতে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যায়, তার জন্যই তৃণমূলের এই কৌশল বলে মনে করছেন একাংশ। এখন তৃণমূল সাংসদ এই ব্যাপারে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়ার পর গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!