এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের অন্দরেই কোন্দল চরমে! বিরোধীদের ‘রটনা’ বলে ধামাচাপার চেষ্টা?

তৃণমূলের টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের অন্দরেই কোন্দল চরমে! বিরোধীদের ‘রটনা’ বলে ধামাচাপার চেষ্টা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেতৃত্ব কাকে কোথায় টিকিট দেবে, তা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। প্রশান্ত কিশোরের সুপারিশ মেনে যদি টিকিট দেওয়া হয়, তাহলে বিভিন্ন জেলায় দ্বন্দ্ব আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে মালদহে তৃণমূলের যুব এবং মাদারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে।

জানা গেছে, বুধবার মালদহ জেলার যুব তৃনমূলের একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সেই গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ইংরেজবাজার শহরের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী একটি সভা করেছেন। যেখানে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। আর তারপর থেকেই শাসক দলের পক্ষ থেকে পাল্টা এখানে সভা করা হতে পারে বলে মনে করেছিল একাংশ।

আর সেই মত করেই বুধবার যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি করা হয়। যেখানে প্রচুর জমায়েত হয়েছিল সেই সভায় বলে দাবি করেন একাংশ। আর যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে এই সভা করা হলেও, এখন তা নিয়ে মালদহ জেলার তৃণমূল বনাম যুব সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক নেত্রী তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার বলেন, “প্রশান্ত কিশোরের সংগঠনের লোকজনও সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। যুব এবং মাদারের বিবাদ নিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমাদের দলে যে কোনো কোন্দল নেই, তা হলফ করে বলতে পারব না। তবে মালদহের সংগঠন এখনও অটুট রয়েছে বলে আমি তাদের জানিয়েছি।”

একাংশ বলছেন, এককালে শুভেন্দু অধিকারী এই মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই একাধিক কংগ্রেস নেতা এমনকি বর্তমানে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই সেই শুভেন্দু অধিকারী জেলায় আসলে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট ঘাসফুল শিবির ছেড়ে তার হাত ধরে বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল যদি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং তৃণমূল নেতৃত্ব যদি তাকে সামাল না দেয়, তাহলে অবস্থা সঙ্কটজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, মালদহ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বৃদ্ধির পেছনে সবথেকে বেশি দায়ী দলের নেতাদের টিকিট পাওয়ার তৎপরতা। কোন বিধানসভা কেন্দ্রে কারা টিকিট পাবে, তা নিয়ে এখন থেকেই সকলে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। আর তাই নিজেদের মত করে কর্মসূচি করতে শুরু করেছেন তারা। যার ফলে সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে তৃণমূলের অন্দরে বিবাদ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে।

জানা গেছে, বুধবার যুব তৃনমূলের এই সভাতে এক জেলা নেতা অভিযোগ করেছেন যে, তাকে দলের কেউ কেউ ব্যাকফুটে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যার ফলে আশঙ্কা আরও বাড়তে শুরু করেছে। যদিও বা দলের মতানৈক্য রয়েছে, স্বীকার করে নিয়ে সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুমালা আগরওয়াল। তিনি বলেন, “আমাদের দলের অন্দরে মতানৈক্য থাকতে পারে। তবে যুব এবং মাদারের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি বিরোধীদের রটনা ছাড়া কিছু নয়। সমস্ত শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের নিয়েই জেলা নেতৃত্ব এককাট্টা হয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। নেতৃত্ব আমাদের একজোট হয়ে চলার কথা বারবার বলেছে। আমরা শৃঙ্খলা পরায়ন। দলের নির্দেশ মেনে চলি।”

আর এখানেই একাংশ বলছেন, অতীতেও বারবার মালদহ জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারপর রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। আর বিধানসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে এবং দলে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন কেন তৃণমূল নেতৃত্ব একজোট হয়ে মালদহ জেলার চলতে পারছে না, এখন সেটাই প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!