এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > তৃণমূলের ত্রিপুরা সক্রিয়তার পরেই পদক্ষেপ কংগ্রেসের, প্রভাব পড়বে বিরোধী জোটে? শঙ্কা তুঙ্গে!

তৃণমূলের ত্রিপুরা সক্রিয়তার পরেই পদক্ষেপ কংগ্রেসের, প্রভাব পড়বে বিরোধী জোটে? শঙ্কা তুঙ্গে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার জয় যুক্ত হওয়ার পর বিজেপিকে চাপে রাখতে সকল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরাতে যখন একাধিক বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আসার উদ্যোগ গ্রহণ করতে আবেদন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই নিজের দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে ত্রিপুরা থেকে শুরু করে আসাম, বিভিন্ন রাজ্যে বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। এদিকে তৃণমূল ত্রিপুরাতে নিজেদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করার পরেই কংগ্রেসের তৎপরতা দেখে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে।

এক্ষেত্রে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এখন ত্রিপুরা নিয়ে নানা তৎপরতা সামনে আসছে। যার জেরে একাংশ বলছেন, এর ফলে বিরোধী মহাজোটে যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে। কেননা সর্বভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেদিক থেকে যদি ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন গঠন করার উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথেই কংগ্রেস পৃথকভাবে সংগঠন চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয়, তাহলে এই দুই দলের মধ্যে বাংলার মতই দূরত্ব তৈরি হতে পারে। যার ফলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিরোধী মহাজোটে এই দুই রাজনৈতিক দলের একসাথে থাকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ত্রিপুরাতে পা রেখেছিলেন। আর তারপর থেকেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ধীরে ধীরে ঘাসফুল শিবির ত্রিপুরাতে তাদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। আর এর মাঝেই 2023 এ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে সংগঠন বৃদ্ধি করার জন্য উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে জাতীয় কংগ্রেসকে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, এই ত্রিপুরাতে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। বিরোধী মহাজোট যদি গঠন হয়, তাহলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং তৃণমূল একটা হলেও, এই ত্রিপুরা রাজ্যে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আর এর ফলেই বিরোধী মহাজোটের যে সাফল্য, তা অনেকটাই ধাক্কা খাবে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, বিরোধী মহাজোট গঠনের ক্ষেত্রে সাফল্য তখনই পাওয়া সম্ভব, যখন একটি রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী মহাজোটের থেকে যে কোনো একটি বিরোধী দল লড়াই করবে। কিন্তু সেদিক থেকে যদি একাধিক বিরোধী দল যে কোনো রাজ্যে লড়াই করে, তাহলে বিরোধী ভোটব্যাংকে ফাটল ধরতে পারে। পাশাপাশি এই ভোট কাটাকুটিতে সেই সমস্ত জায়গায় শেষ হাসি হাসতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এখন থেকেই যদি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে মনোযোগী হয়ে পড়ে, তাহলে নিজেরা লড়াই করতে গিয়ে তাদের প্রধান স্বপ্ন অর্থাৎ 2024 এ কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্নে ব্যাপক আঘাত আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!