এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলকে চাপে ফেলতে বিজেপির বৈঠক, অনুপস্থিত শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা!

তৃণমূলকে চাপে ফেলতে বিজেপির বৈঠক, অনুপস্থিত শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কি ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর? বেশ কিছুদিন ধরে এই রকম জল্পনা তৈরি হলেও, মুখে এমনটা স্বীকার করেনি বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু এবার ভোট পরবর্তী হিংসা সহ একাধিক বিষয়ে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হল। কিন্তু সেখানে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকলেও, কার্যত অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

মূলত, ঘরে এবং বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখার দিক থেকে পরিষদীয় নেতা হিসেবে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই বিজেপির প্রধান মুখ। সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব দিলীপ ঘোষের কাঁধে থাকলেও, পরিষদীয় রাজনীতির সবটাই শুভেন্দু অধিকারীর ওপর রয়েছে। সেদিক থেকে গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একমাত্র সুযোগ রয়েছে শুভেন্দুবাবুর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য বিধায়কদের। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে চাপে রাখতে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হলেও, কেন সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই শুভেন্দু অধিকারীকে? এখন সেটাই জল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন এবং অমিত মালব্যকে। এছাড়াও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ পাঁচ সাধারণ সম্পাদক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বৈঠকে অনুপস্থিত না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, কিছুদিন হল রাজভবন সফর থেকে শুরু করে দিল্লি সফর, শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক পদক্ষেপে কিছুই জানতেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার কারণে তিনি অনেকটাই ক্ষিপ্ত‌। আর শুভেন্দু অধিকারী দলের সংগঠনে তেমন কোনো পদে নেই‌। তিনি পরিষদীয় রাজনীতিতে বিচরণ করছেন এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাই তাকে দলীয় সাংগঠনিক এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। তবে একাংশ আবার বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এদিন দলের অন্য কর্মসূচিতে ব্যাস্ত ছিলেন।

কেন হঠাৎ করে শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই রকম কোনো বিষয় নেই। সব বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয় না। সাংগঠনিক পদাধিকারীদের বৈঠক এবং পরিষদীয় বা সংসদীয় দলের বৈঠক আলাদা হয়। কাল বা পরশু কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক হওয়ার কথা।” পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবে পরিচিত‌। এক্ষেত্রে সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে দলীয় সংগঠনকে গুলিয়ে ফেলতে চাইছে না ভারতীয় জনতা পার্টি।

মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। যার ফলে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর পরিষদীয় রাজনীতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব বাড়িয়ে তাকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, তার কিছুই জানতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ। যার ফলে ঘনিষ্ঠমহলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। আর এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠক হলেও সেখানে পরিষদীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিরোধী দলনেতাকে না ডেকে কার্যত জল্পনা বাড়িয়ে দিল গেরুয়া শিবির। যদিও বা এই নিয়ে জল্পনার কিছুই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নেতারা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!